স্বেচ্ছাকর্মী তানভীর মৃদুল বলেন, এটা মূলত একটা সচেতনতামূলক প্রোগ্রামের মাধ্যমে একটা ম্যাসেজ দিতে চাই, যাতে মানুষ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ময়লা না ফেলে। সৌন্দর্য উপভোগ বা অভিজ্ঞতা অর্জন ছাড়াও আমাদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে।
তিনদিনব্যাপী এ অভিযানের প্রথমদিন দুপুরের পর থেকে দ্বীপের কিছু অংশে পরিচ্ছন্ন অভিযান শুরু হবে। দ্বিতীয়দিন দ্বীপের বাকি অংশ ও ছেঁড়া দ্বীপের বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে। শেষদিন সংগৃহীত ময়লা টেকনাফ পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনে পৌঁছানোর মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শেষ হবে। মূলত বর্জ্যের তালিকায় রয়েছে- চিপসের প্যাকেট, খালি বোতল, বিস্কুটের প্যাকেটসহ দ্বীপের সব ধরনের অপচনশীল জিনিস।
স্বেচ্ছাকর্মী নিয়াজ মোর্শেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টিওবি’র এ পরিচ্ছন্নতা অভিযান সেন্টমার্টিন, সাজেকসহ বড় বড় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অব্যাহত থাকবে। এভাবে এমন একটা সময় আসবে যখন আর এ অভিযান করতে হবে না। মানুষ সচেতন হবে। বিচ পরিষ্কার থাকবে, পাহাড়-ঝর্ণা ময়লামুক্ত হবে, সর্বোপরি আমাদের পর্যটন স্পট পরিষ্কার থাকবে।
আরেক স্বেচ্ছাকর্মী জুয়েল রানা জানান, যে কেউ এ সেচ্ছাশ্রমে অংশ নিতে পারবেন। যেহেতু এটা ক্লিনিং ইভেন্ট তাই ময়লা কুড়ানোর মানসিকতা থাকতে হবে। ট্রলারে করে যেতে হবে এবং ঝড় উঠলে বিশাল বড় বড় ঢেউ হতে পারে তাই যাদের পানি ভীতি আছে তাদের না যাওয়াই উত্তম।
টিওবি ফেইজবুকের অন্যতম বড় একটা ট্রাভেল গ্রুপ। গ্রুপটি ট্রাভেলারদের একটা প্লাটফর্ম। এর মাধ্যমে সবাই ঘোরাঘুরি নিয়ে সব ধরনের তথ্য জানতে পারে। ঘুরাঘুরি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারে। অল্প খরচে বেশি ঘোরা বা ব্যাকপ্যাকিং ট্যুরকে বেশি উৎসাহিত করে টিওবি। এর আগে তারা খৈযাছড়া, নাপিত্তাছড়াসহ বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পট ময়লামুক্ত করে।
গত কয়েক বছর ধরে পর্যটন স্পটগুলোতে মানুষের প্রচুর যাতায়াতের কারণে ময়লা হয়ে যাচ্ছে। আমাদের একটা অভ্যাস আছে, ময়লা জায়গা মতো না ফেলার। শহরে যেমন আমরা যেখানে সেখনে ময়লা ফেলি, ঠিক তেমনি কোথাও ঘুরতে গেলেও ফেলি। মানুষ গিয়েই এসব পর্যটন স্পটগুলো নোংরা করে আসে। টুরিস্ট এবং স্থানীয়রা যখন দেখবে তাদের ফেলে রাখা ময়লা অন্য কেউ গিয়ে পরিষ্কার করছে, তখন বুঝবে পর্যটন স্পট ময়লা করা ঠিক হচ্ছে না। এতে তারা কিছুটা হলেও সচেতন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৮
আরবি/