মঙ্গলবার (০৯ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত ‘আমার কথা শোন’ কর্মশালায় এমনটিই বলছিল শিশু বক্তারা।
অনুষ্ঠানে শিশু বক্তা রিফাত জাহান বলে, আমাদের দেশে শিশুবান্ধব পর্যটন কেন্দ্র অনেক রয়েছে, কিন্তু সেখানে শিশুদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই কম।
একই বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সভার সভাপতি ও শিশু প্রতিনিধি সিদরাতুল মুনতাহার। সে বলে, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সব সময়ই ভিড় লেগে থাকে। এর ফলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারে না অনেক শিশুই। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোও শিশুদের বিষয়ে কিছু ক্ষেত্রে পরিচয় দেয় চরম দায়িত্বহীনতার।
‘আমার কথা শোন’ কর্মশালায় শিশুবান্ধব পর্যটন বিষয়ে কথা বলার এ আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল করিম ও বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের উপ-পরিচালক আকতার আহমেদ।
এসময় পর্যটন বোর্ডের উপ-পরিচালক বলেন, বাংলাদেশ সরকার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পর্যটন পুলিশ মেতায়েন করেছে। শিশুদের জন্য সরকারি-বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা সকল পর্যটন হোটেল মোটেলগুলোতে বিনোদনের জন্য নানা রকম খেলনা সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেগুলোতে নেই, সেগুলোতে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শিশুরা যেনো পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সব রকম সুযোগ সুবিধা পায় তার যথাযথ ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করছি।
বিভিন্ন ছুটিতে বাংলাদেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরে আসার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে আবদুল করিম বলেন, শিশু অধিকার আইনে অন্তর্ভুক্ত একটা অধিকার হলো চিত্ত-বিনোদন। শিশুদের চোখ মেলে বেরিয়ে পড়তে হবে। আমাদের দেশ বাংলাদেশকে দেখতে হবে। শিশুরা ঘুরতে গেলে অবশ্যই দলগতভাবে থাকতে হবে। তা হোক বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন বা সহপাঠীর সঙ্গে। শিশুরা যতো দেখবে, ততো শিখবে, জানবে।
মূল আলোচনা শেষে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে মত প্রকাশ করেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা। এসময় শিশুবান্ধব পর্যটন নিয়ে শিশুদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অতিথিরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৮
এইচএমএস/টিএ