নভেম্বর থেকে বাকি আরো পাঁচটি জাহাজ চলাচল শুরু করবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। অপার সৌন্দর্যের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণের জন্য প্রতিবছর অপেক্ষা করেন পর্যটকরা।
জানা যায়, সামুদ্রিক শান্ত আবহাওয়ায় শীতকালীন পর্যটন মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন জলপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় প্রশাসন। সাধারণত অক্টোবরের শেষ দিকে জাহাজ চলাচল শুরু হয় এবং এপ্রিলের প্রথমদিকে বন্ধ হয়ে যায়। তবে সমুদ্রে লঘুচাপ-নিম্নচাপের কারণে সাগর সাময়িকভাবে উত্তাল হয়ে উঠলে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টোয়াক বাংলাদেশ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম কিবরিয়া খান বলেন, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঘূর্ণিঝড় তিতলির পর থেকে গত নয়দিন ধরে বঙ্গোপসাগর শান্ত রয়েছে। এ অবস্থায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন জলপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়ায় চলতি মৌসুমের প্রথম দু’টি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়েছে।
শুক্রবার সকালে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে পর্যটক বোঝাই ছাড়ে জাহাজ দু’টি। একইদিন বিকেল ৩টায় ছেড়ে জাহাজ দু’টি সন্ধ্যায় টেকনাফ পৌঁছাবে। এ রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প দ্রুত চাঙা হয়ে ওঠবে বলে মনে করেন কিবরিয়া।
কেয়ারি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেল্সের সহকারী মহাব্যবস্থাপক এসএম আবু নোমান জানান, তাদের দু’টি জাহাজ চলাচলের জন্য প্রশাসনের অনুমতি পেয়েছে। এরমধ্যে শুক্রবার ‘কেয়ারি ডাইন’ চলাচল শুরু করেছে। ‘কেয়ারি সিন্দবাদ’ জাহাজটিও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চলাচল শুরু করবে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে জানান, সেন্টমার্টিন ভ্রমণকারী পর্যটকদের আনন্দদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৮
এএ