কিন্তু তাদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই সরকারের হাতে। অথচ এই ট্যুর অপারেটররা বিদেশ ভ্রমণকারীদের ভিসা প্রক্রিয়া (কিছু দেশের ক্ষেত্রে), টিকিট ও হোটেল বুকিং ও ক্যান্সেল থেকে শুরু করে রিফান্ড প্রক্রিয়া পর্যন্ত করে থাকে।
তাই তাদের বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য থাকলেই বিদেশ ভ্রমণকারীদের সঠিক সংখ্যা, তাদের ভ্রমণকর আদায়, জিডিপিতে এই ভ্রমণকারীদের অবদান প্রভৃতি জানা যাবে সহজেই। এই লক্ষ্যে দেশের সব ট্রাভেল এজেন্ট বা ট্যুর অপারেটর এবং ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্টদের তথ্য ও কার্যক্রম জানতে মাঠে নামছে সরকার। এ বিষয়ে একটি ডাটাবেজ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
বিবিএসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারির মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশের সব ট্রাভেল এজেন্ট বা ট্যুর অপারেটরের তথ্য সংগ্রহ করবেন কর্মকর্তারা। ট্যুর অপারেটরের সংখ্যা, এজেন্ট মালিকের নাম ও অন্যান্য তথ্য, অপারেটরের ব্যয়, জনবল, ভ্রমণকারীরা ঠিকমতো কর দিচ্ছেন কি-না, সেসব তথ্য আনা হবে ডাটাবেজের আওতায়।
বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বিবিএসের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং উইং। উইংয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল খালেকের সঙ্গে আলাপ হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘পর্যটন বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত। এখাতে ট্যুর অপারেটর-ট্রাভেল এজেন্টরা বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু এদের বিষয়ে সঠিক-গ্রহণযোগ্য তথ্য আমাদের হাতে নেই। তাই আমরা সব তথ্য বের করতে মাঠে নামবো।
তিনি জানান, ২০১৫ সালে বিশ্বে পর্যটন খাতে ৭ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে, যা বৈশ্বিক জিডিপির ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। আগামী এক যুগ বিশ্ব অর্থনীতিতে পর্যটন খাতে ৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিল।
আব্দুল খালেক বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান ২ দশমিক ৪ শতাংশ। এটিকে আরও বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। তবে তার আগে বিদেশ ভ্রমণকারীদের তথ্যও বের করে আনতে হবে আমাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
এমআইএস/এইচএ/