দূরন্ত শৈশব নীরবে জানান দেয় তাদের অদম্যতা। সকালের সূর্য উঠে গেছে ঢের আগে।
পাহাড়ে এসে চায়ের শিশুদের খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি বলে দেয়- সকালটা সত্যি অন্য রকম! কণ্ঠে তাদের বাগানিভাষা। একজনের বলা শেষ হওয়ার আগেই অপরজন সে কথার রেশ টেনে প্রসঙ্গে ঢুকে পড়ে। কখনোবা মতের মিল! কখনো আবার অমিল। মোদ্দাকথা- নিজের মিশন অবধি পৌঁছানো চাই তাদের।
চারজনের এই যাত্রায় রয়েছে দুটো দ্বিচক্রযান। এক দ্বিচক্রযানে দু’জন যাত্রী। চালক এবং যাত্রী। টিলাময় উঁচু পাহাড়ি পথে তাদের পক্ষ পাড়ি দেওয়া অসম্ভব হয়ে দেখা দিয়েছে। বাহনটিকে ঠেলে ঠেলে নিয়ে এই অসম্ভবকে সম্ভব করছে তারা।
সাজু দোসাদ, শচীন হাজরা এবং শান্ত হাজরা পড়েছ সপ্তম শ্রেণিতে। তাদের দলে থাকা অপেক্ষাকৃত ছোট শিশুটি পড়ে তৃতীয় শ্রেণিতে। এর প্রত্যেকেই ভিক্টোরিয়া হাই স্কুলের শিক্ষার্থী। বসবাস করে ভাড়াউড়া চা বাগানে।
কথা প্রসঙ্গে সাজু বাংলানিউজকে জানায়, প্রতি শুক্রবার বাইসাইকেল নিয়ে তারা এভাবে পাহাড়ি পথে ঘুরতে বের হয়। দু-তিন ঘণ্টার এই ঘোরাফেরা অনেক ভালো লাগে তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
বিবিবি/এএটি