ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

পর্যটন শহর শ্রীমঙ্গলের ফুটপাত বেদখল

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
পর্যটন শহর শ্রীমঙ্গলের ফুটপাত বেদখল শ্রীমঙ্গলের ফুটপাতের উপর অস্থায়ী দোকান | ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: পায়ে চলার পথ হকার ও ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যাওয়ায় চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্যহানি ঘটছে। আর ফুটপাত বেদখল হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে পথচারীদের।

রাস্তা ও ফুটপাত বেদখল করে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণ এবং যত্রতত্র বাজার বসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও শহরের পৌরসভা এলাকা এবং পৌরসভার দেয়াল ঘেঁষে ময়লা আবর্জনার স্তূপ জমে গেছে।

 

এসব পৌর কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করছে। পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশ না হলে প্রশাসন থেকেও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার দু’পাশে সারি সারি দোকানঘর নির্মাণ, বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান বসানো এবং রাস্তার পাশে সারি সারি সিএনজি অটোরিকশার দাঁড়িয়ে থাকার কারণে নিত্য যানজটে দুর্বিসহ এলাকাবাসী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীরা এসব জায়গা দখল করে গড়ে তুলেছেন অবৈধ স্থাপনা আর তাদের কাছে থেকে প্রতিদিন গুনছেন হাজার হাজার টাকার চাঁদা। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কর্মজীবী থেকে শুরু করে শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে আশা পর্যটকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে প্রতিনিয়ত যানজটের শিকার হতে হচ্ছে।

যানজটের ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ শ্রীমঙ্গল বাজারের উপর দিয়ে চলাচলকারী সড়ক ও সড়কের প্রধান হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার রোডস্থ বাস, সিএনজি, ইজিবাইক, অটোরিকশা পার্কিং যানজট সৃষ্টি করছে বেশি। ফলে ব্যবসায়ী ও রোগীসহ সাধারণ যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন ভোগান্তি।

শ্রীমঙ্গল শহরতলী এলাকাবাসী মো. আনিস মিয়া বলেন, ফুটপাত দখলে থাকায় আমাদের রাস্তার মাঝ দিয়ে হাঁটাচলা করতে হয়। ফুটপাত দখলমুক্ত করলে আমরা ফুটপাত ব্যবহার করে হাঁটাচলা করতে পারতাম।

স্টেশন রোডস্থ এক পথচারী পৌরশহরের মাছ বাজার এলাকার ময়লা আর্বজনা আর দু’পাশ দখল করে রাখা ফুটপাতের ওপর অস্থায়ী দোকানপাট মূল সমস্যা বলে জানান।

ঢাকা থেকে আশা এক পর্যটক বলেন, আগে শুনেছিলাম শ্রীমঙ্গল নাকি খুবই সুন্দর পর্যটন এলাকা। কিন্তু ট্রেন থেকে নেমে রাস্তাঘাট এমনকি চলাচলের জন্য কোনো ফুটপাত চোখে পড়েনি। আমাকে পৌরসভার পিছনে ময়লার দুর্গন্ধযুক্ত রাস্তা নাকে হাত দিয়ে আসতে হলো।

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার প্যানেল মেয়র (ভারপ্রাপ্ত মেয়র) কাজী আব্দুল করিম বলেন, আমরা কিছুদিন পরপর উচ্ছেদ অভিযান চালাই, তারপরও আবার বসে যায়। মেয়র সাহেব লন্ডন থেকে এলে ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযান আবারো চালাবো।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
বিবিবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।