পাকিস্তান হাইকমিশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ১ হাজার ৭১৫টি ভিসা ইস্যু করেছে পাকিস্তান। অথচ ২০১৭ সালে বাংলাদেশিদের তাদের ভিসা দেওয়ার সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১৪৬টি।
চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে ভিসার ইস্যুর সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে ২০১৮ সালে।
২০১৮ সালে পাকিস্তানের যে ১ হাজার ৭১৫টি ভিসা ইস্যু হয়েছে বাংলাদেশিদের জন্য, তার মধ্যে বিজনেস ভিসা ৩২৩টি, তাবলিগ ভিসা ১২১টি, ভিজিট ভিসা ১০০৮টি, ওয়ার্ক ভিসা ১০টি, কূটনৈতিক ভিসা ৮টি, কনফারেন্স-সেমিনার ভিসা ৪৭টি, অফিসিয়াল ভিসা ১৯১টি এবং অন্যান্য ভিসা ছিল ৭টি ।
বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে শীতল সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার ইস্যুতে পাকিস্তান বারবার নাক গলানোয় দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। যোগাযোগ কমেছে দুই দেশের মানুষের মধ্যেও।
বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশিদের বিদেশ ভ্রমণের হার বেড়ে চলেছে। এক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য ভারত। পাশাপাশি আছে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, নেপাল, ভুটান, চীন এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ। কিন্তু পাকিস্তান ভ্রমণে বাংলাদেশিদের অনাগ্রহই দেখা যাচ্ছে দিনে দিনে।
ভ্রমণকারীরা বলছেন, পাসপোর্টে পাকিস্তানের ভিসা থাকলে অনেক দেশই ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করে থাকে। এছাড়া নিরাপত্তার কারণে অনেকেই পাকিস্তানে যেতে আগ্রহী নন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের তরুণ ভ্রমণকারী আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের ভ্রমণকারীরা পাকিস্তানে যেতে আগ্রহী নন। কেননা পাকিস্তানের ভিসা পাসপোর্টে থাকলে বিভিন্ন দেশের ভিসা পেতে সমস্যা হয়ে থাকে। তাই পাকিস্তানকে এড়াতে চান ভ্রমণকারীরা।
এ বিষয়ে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের কন্স্যুলার (প্রেস) মুহম্মদ আওরঙ্গজেব হারাল বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য যতদূর সম্ভব আমরা ভিসা সহজীকরণের নীতি নিয়েছি।
তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের আশানুরূপ সাড়া তারা পাচ্ছেন না বলে দাবি করেন আওরঙ্গজেব হারাল।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
টিআর/এইচএ/