পড়ন্ত বিকেলে লেকের চারিদিকে নৌকায় করে মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘোরা যায়। এ সময় ঝাঁকে ঝাঁকে হাঁসের পাশাপাশি চোখ আটকাবে সাদা বক আর বড় বড় মাছের লাফা-লাফি।
পরিকল্পনা ছিল খাগড়াছড়ির পানছড়িতে অবস্থিত মায়াবিনী লেকে মাছচাষ প্রকল্প করার। সেটি হয়েছে ঠিকই, সঙ্গে পেয়েছে পর্যটন স্পটের তকমা। এখন খাগড়াছড়ির পর্যটনে নতুন সংযোজন ‘মায়াবিনী লেক’।
টিলা পাহাড় এবং লেকের সম্মিলনে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা লেকটি দেখতে দিনদিন পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়ছে। আর কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের কথা চিন্তা করে সাজিয়ে তুলছে স্পটটি।
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার কংচারী পাড়ায় অবস্থিত মায়াবিনী লেক। ৪০ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত মায়াবিনীর ১৫ একর জুড়ে লেক এবং ২৫ একর পাহাড়। মূলত এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য একতা মৎস্য চাষ সমিতি ২০১৬ সালে সম্মিলিতভাবে মায়াবিনীতে শুরু হয় মৎস্য চাষ প্রকল্প।
২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর পর্যটকদের জন্য তা খুলে দেওয়া হয়। এরপর লেকে প্রতিদিন শত শত পর্যটকের ভিড় জমে। কেউ আসেন উপভোগ করতে, কেউ আসেন পিকনিক করতে। সেখানে পর্যটকদের জন্য লেকে কায়াকিং, ওয়াটার বাইকের ব্যবস্থা রয়েছে। আসন্ন ঈদ ঘিরেও পর্যটকদের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে স্পটটি।
একতা মংস্য চাষ সমিতি ও মায়াবিনী লেক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অংহ্লা মারমা বলেন, দিন যতই যাচ্ছে এখানে পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়ছে। আমরা পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে লেকটিকে সেভাবে সাজাচ্ছি। ঈদে পর্যটকদের সুবিধার জন্য আমরা নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক রাখছি।
এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ সেবা। যারা পর্যটন স্পটগুলোতে নিয়মিত টহল দেওয়ার পাশাপাশি বিশেষ প্রয়োজনে পর্যটকদের সমস্যার তদারকি করেন।
খাগড়াছড়ি ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ ধামেই বলেন, এমনিতে সারা বছর এখানে পর্যটকদের ভিড় থাকে, তবে ঈদে তা আরো বাড়ে। আসন্ন ঈদ ঘিরে পর্যটন স্পটগুলোতে আমরা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবো। আশা করি পর্যটকদের ভ্রমণ এখানে নিরাপদ হবে।
মায়াবিনী লেকে যেভাবে যাবেন: খাগড়াছড়ির স্বনির্ভর এলাকা থেকে বাস, পিকআপ, সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে পানছড়ি সড়কের ভাইবোনছড়া এলাকায় যেতে হবে। যার দূরত্ব ১৫ কিলোমিটর। ভাইবোনছড়া বাজারের উত্তর দিকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে মায়াবিনী লেকের অবস্থান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৯
এডি/জেডএস