তিনি বলেন, ওই গ্রামে পর্যটকেরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে দেশীয় নাগরিকদের সঙ্গে একত্রে বসবাস করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হবে। সেখানকার অবকাঠামোগত সুবিধা নির্মাণে সরকার সহযোগিতা করবে।
বুধবার (০৬ নভেম্বর) দুপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পর্যটনের উন্নয়নে কমিটমেন্ট থাকতে হবে মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের পরিশ্রম করতে হবে। ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সফল হতে হলে কষ্ট করার কোনো বিকল্প নেই। পর্যটনের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে পর্যটনখাতে বিনিয়োগ করতে হবে।
আগামী দুই বছরের মধ্যে পর্যটন উন্নয়নের মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন সম্পন্ন করা হবে জানিয়ে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সব কিছুতেই গুণগত পরিবর্তন এসেছে। দেশ এখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে। দেশের এই অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অভিযাত্রায় ভূমিকা রাখতে পর্যটন খাতের বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে।
মাহবুব আলী বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘকালেও বাংলাদেশের পর্যটন পণ্যগুলোর ব্র্যান্ডিং হয়নি। এখন সময় এসেছে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণগুলোকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল, মেট্রোরেল ও পাতাল রেল নির্মাণ বাস্তবায়িত হলে তা পর্যটকদেরকে বাংলাদেশ ভ্রমণে উৎসাহিত করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাণিজ্যিক শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পরিচালক তৌফিক রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
টিএম/জেডএস