সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন এলাকায় এ পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে মাটির পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এরপর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও বালু ভরাটের কাজ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চুনাখালি ও নিমগাছি মৌজার ৪৪.৫১ একর খাস জমির উপর নির্মিত হচ্ছে এ পর্যটন কেন্দ্র। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের বাস্তবায়নে, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং গণপূর্ত বিভাগ চাঁপাইনবাবগঞ্জের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এ প্রকল্পের তদারকির দায়িত্বে থাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাহিদ হাসান বাংলানিউজকে জানান, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য পর্যটন মন্ত্রণালয় ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য কাজও শুরু হয়েছে। তিনি আরো জানান, এখানে পাঁচতারা হোটেল, টেনিস মাঠ, পার্ক, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, জাদুঘর, সুইমিংপুলসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। আর এ পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা জেলা সদরটি সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারবে। এতে করে জেলার অর্থনীতিতে সৃষ্টি হবে পর্যটনের নতুন খাত।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদরে কোনো বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকলেও একটু বিনোদনের জন্য শহরবাসী মহানন্দা নদীর ব্রিজ ও সম্প্রতি নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুতে ভিড় করেন। সেতু এলাকায় যারা ঘুরতে আসেন, তারা পর্যটন কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার নিজেদের আনন্দের কথা জানিয়েছেন, সেই সঙ্গে এলাকার অর্থনীতিসহ পথঘাটের উন্নয়নের কথা ভেবে স্থানীয়রাও খুশি।
সেতু এলাকায় ঘুরতে আসা মৌসুমি বেগম জানান, এ শহরে কোনো পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্র গড়ে না ওঠায় ক্ষণিকের জন্য শেখ হাসিনা সেতু এলাকায় একটু বিনোদন খুঁজতে তিনি এসেছেন।
অপর বিনোদন পিপাসু আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিনি ৫ দিন ব্যাংকে চাকরি করার পর ২দিন সাপ্তাহিক ছুটি পান। কিন্তু সেতু এলাকা ছাড়া কোথাও বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকায় হতাশায় ছিলেন। তবে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠার কথা শুনে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে শহরবাসীর পাশাপাশি জেলাবাসী একদিকে বিনোদনস্থল পাবে। অন্যদিকে অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে বলে মত প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এসএইচ