ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

৪৪ একর জমিতে হচ্ছে ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যটনকেন্দ্র’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
৪৪ একর জমিতে হচ্ছে ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যটনকেন্দ্র’ সাইনবোর্ড।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে ‘শেখ হাসিনা সেতু’ সংলগ্ন এলাকায় ৪৪ একর জমির ওপর গড়ে উঠতে যাচ্ছে পর্যটনকেন্দ্র। জেলা সদরে বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রস্তাবিত এ  পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে উঠলে এ অঞ্চলের মানুষের জন্য নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন হবে। মুসলিম স্থাপত্য শিল্পে সমৃদ্ধ গৌড়ের রাজধানীতে পর্যটন শিল্পের বিকাশে ভূমিকা রাখতে এ পর্যটন কেন্দ্র।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন এলাকায় এ পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে মাটির পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এরপর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও বালু ভরাটের কাজ করা হবে।

এ দুটি কাজ শেষ হতে ৬ মাসের মত সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এরপরই মূল পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চুনাখালি ও নিমগাছি মৌজার ৪৪.৫১ একর খাস জমির উপর নির্মিত হচ্ছে এ পর্যটন কেন্দ্র। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের বাস্তবায়নে, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং গণপূর্ত বিভাগ চাঁপাইনবাবগঞ্জের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এ প্রকল্পের তদারকির দায়িত্বে থাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাহিদ হাসান বাংলানিউজকে জানান, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য পর্যটন মন্ত্রণালয় ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য কাজও শুরু হয়েছে। তিনি আরো জানান, এখানে পাঁচতারা হোটেল, টেনিস মাঠ, পার্ক, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার,  জাদুঘর, সুইমিংপুলসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। আর এ পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা জেলা সদরটি সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারবে। এতে করে জেলার অর্থনীতিতে সৃষ্টি হবে পর্যটনের নতুন খাত।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদরে কোনো বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকলেও একটু বিনোদনের জন্য শহরবাসী মহানন্দা নদীর ব্রিজ ও সম্প্রতি নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুতে ভিড় করেন।  সেতু এলাকায় যারা ঘুরতে আসেন, তারা পর্যটন কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার নিজেদের আনন্দের কথা জানিয়েছেন, সেই সঙ্গে এলাকার অর্থনীতিসহ পথঘাটের উন্নয়নের কথা ভেবে স্থানীয়রাও খুশি।

সেতু এলাকায় ঘুরতে আসা মৌসুমি বেগম জানান, এ শহরে কোনো পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্র গড়ে না ওঠায় ক্ষণিকের জন্য শেখ হাসিনা সেতু এলাকায় একটু বিনোদন খুঁজতে তিনি এসেছেন।

অপর বিনোদন পিপাসু আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিনি ৫ দিন ব্যাংকে চাকরি করার পর ২দিন সাপ্তাহিক ছুটি পান। কিন্তু সেতু এলাকা ছাড়া কোথাও বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকায় হতাশায় ছিলেন। তবে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠার কথা শুনে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে শহরবাসীর পাশাপাশি জেলাবাসী একদিকে বিনোদনস্থল পাবে। অন্যদিকে অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে বলে মত প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।