শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বরণপাড়ায় অবস্থিত পার্কটির উদ্বোধন করেন ওয়েস্টার্ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পার্কের কর্ণধার এ এস এম আলাউদ্দিন ভূঁইয়া। রানা রিসোর্ট অ্যান্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কটি ওয়েস্টার্ন গ্রুপের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলো ভিন্ন ধাঁচের ছোঁয়া, চোখ ধাঁধানো আয়োজন নয়, বরং সাবলীল আনন্দ উপভোগকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। এ রিসোর্টে থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন ভ্রমণে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। রিসোর্টের প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্কের কর্ণধার এএসএম আলাউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, পদ্মার এ পাড়ে সবচেয়ে বড় পার্ক এটি। আমার একমাত্র ছেলে রানার স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি নির্মাণের উদ্দেশ্য হলো আমার ছেলের স্মৃতিকে জড়িয়ে এ অঞ্চলের কর্মসংস্থান ও বিনোদনের ব্যবস্থা করা। এ প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ব্যক্তিদের ৯৫ শতাংশই স্থানীয় লোকজন। এটি খুলনার বটিয়াঘাটার পশুর নদের অববাহিকায় অবস্থিত। এখানে রয়েছে অত্যাধুনিক কটেজ, আধুনিক ও জনপ্রিয় রাইড সম্বলিত অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও ওয়াটার কিংডম, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন ভ্রমণ (রিভারক্রুজ)। এ পার্কে বিশেষ আকর্ষণ সুনামি পুল যা বাংলাদেশে প্রথম, যেখানে কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট সাগরের উত্তাল ঢেউ এবং ওয়াটার স্লাইড ও ডিজে মিউজিক এবং বিভিন্ন আকর্ষণীয় রাইড ও বিনোদনের ব্যবস্থা থাকছে।
তিনি আরও বলেন, অ্যামিউজমেন্ট পার্কটিতে রয়েছে ক্যারোসেল, অক্টোপাস রাইড, নাগরদোলা, বাম্পার কার, সেল্ফ কন্ট্রোল্ড প্লেন, ট্রেন, ফ্লাইং কার, জাম্পিং ফ্রগ, লেডি বাগ, মটর রাইড, কেবল কার, সুনামি পুল, ওয়াটার স্লাইড রাইন্ড। ৯ দশমিক ২৫ একর জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা এ অসাধারণ পার্কটির মধ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে পাঁচ তারকা মানের হোটেল। হোটেলটি পরিবেশবান্ধবভাবে নির্মিত হবে। এ হোটেলে রয়েছে সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন অত্যাধুনিক ব্যবস্থা, এতে পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্তে বিশ্রাম ও রাত্রিযাপন করা যাবে। এর মাধ্যমে সুন্দরবনে পর্যটক বাড়বে। সরকারের রাজস্ব বাড়বে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়েস্টার্ন গ্রুপের পরিচালক কামরুন নাহার, ফারজানা আক্তার, নাহিদ আক্তার, জেহনাসিব ইমরান কায়রা, সায়ান সারওয়ার ও সাইফুল ইসলাম অপু।
** পর্যটকদের ‘আমন্ত্রণ’ জানাচ্ছে খুলনার রানা রিসোর্ট
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
এমআরএম/ওএইচ/