খুলনা: পর্যটকদের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লবণাক্ত বনাঞ্চল সুন্দরবন উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকরা আগামীতে দেশের সব পর্যটন কেন্দ্রে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ তথ্য জানান তিনি।
পর্যটন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, উন্নয়ন পরিকল্পনায় পর্যটনকে সম্পৃক্তকরণ এবং বাংলাদেশের পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তাকরণ বিষয়ে খুলনা জেলায় অনলাইন জুম প্রযুক্তিতে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন তার সম্মেলন কক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটনের সাথে স্থানীয় মানুষকে যুক্ত করে তাদের অবস্থা পরিবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। দেশে পর্যটনের সম্ভাবনা অনেক, একে আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্ভাবনী পরিকল্পনা নেওয়া আবশ্যক।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের জিডিপিতে পর্যটনের অবদান ৮ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিশ্ব জিডিপির ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ। এই খাত বিশ্বের প্রায় ৩৩০ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটনের আবদান ৩ শতাংশ এবং কর্মসংস্থানে অবদান ২ দশমিক ৯০ শতাংশ।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্যে খুলনার উন্নয়নে পর্যটনের সম্ভাবনা বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ও মতামত উঠে আসে।
ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক (বিপণন, পরিকল্পনা ও জনসংযোগ) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন কেসিসির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বালা, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশিরুল-আল-মামুন, ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন, দাকোপ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. আবদুল ওয়াদুদ, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, রূপান্তরের প্রধান নির্বাহী স্বপন গুহ, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন খুলনার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড।
কর্মশালায় খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমানসহ জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও পর্যটন সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২০
এমআরএম/এমজেএফ