ঢাকা: দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে জাতীয় জাদুঘরের দ্বার। তবে আরোপ করা হয়েছে নানা নিয়মকানুন।
করোনা সংক্রমণ এড়াতে ২২০ দিন বন্ধ ছিলো জাতীয় জাদুঘর। স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে রোববার (১ নভেম্বর) থেকে খুলে দেওয়া হয় জাতীয় জাদুঘর। সকালে ২০০ এবং বিকেলে ৩০০ জন, সর্বমোট ৫০০ জন দর্শনার্থী প্রতিদিন ঢুকতে পারবেন জাদুঘরে। প্রথম দিন রোববার দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৩৪ জন।
সোমবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকেই জাতীয় জাদুঘরের প্রবেশ মুখে ছিল দর্শনার্থীদের জটলা। অনলাইনে কাটা টিকিট দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছিলেন তারা। প্রবেশের সময় মাপা হচ্ছিল শরীরের তাপমাত্রা।
জাদুঘরের প্রবেশ মুখে অনেককেই দেখা গেলো, টিকিটের সন্ধান করতে। তাদেরই একজন খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী। তিনি তার মেয়ে ইভাকে সঙ্গে করে জাদুঘর দেখতে এসেছিলেন।
বললেন, ‘আমরা তো সব সময় গেট থেকে টিকিট কেটে ভেতরে যাই। এখন নতুন নিয়ম করেছে। ’
জাদুঘরের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টিকিট কাটছিলেন রাজধানীর ইস্কাটনের বাসিন্দা আখলাসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে আসলে সবকিছুই বন্ধ ছিল। এখন ধীরে ধীরে সব খুলছে। এজন্যই জাদুঘরে ঘুরতে এসেছি। খুব সহজেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টিকিট কাটলাম। ’
অনলাইনে কাটতে হবে টিকিট/ ছবি: ডিএইচ বাদল
এ বিষয়ে জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক দর্শনার্থী প্রবেশের সুযোগ পাবেন। প্রাথমিকভাবে আমরা ৫০০ জনকে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছি। প্রথম দিনেই ৪৩৪ জন দর্শনার্থী জাদুঘর ঘুরেছেন। ’
তিনি বলেন, আমরা প্রথম এক থেকে দেড় মাস এভাবেই জাদুঘর পরিচালনা করবো। তারপর করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ।
যেভাবে কাটা যাবে জাদুঘরের টিকিট
জাদুঘরের টিকিটের জন্য আগের মতোই বাংলাদেশি প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ২০ টাকা, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ১০ টাকা। এছাড়া সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের ৩০০ টাকা এবং অন্য দেশের নাগরিকদের জন্য ৫০০ টাকা প্রবেশ ফি দিতে হবে।
টিকিট কাটা যাবে জাদুঘরের ওয়েবসাইট (http://nationalmuseumticket.gov.bd) থেকে। Buy Ticket ডায়লগ বক্সে যাবতীয় তথ্য দিয়ে প্রথমে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর Purchase eTicket অপশনে ক্লিক করে জাদুঘরে ভ্রমণের তারিখ, টিকিট সংখ্যা লিখে Add বাটনে ক্লিক করতে হবে।
একের অধিক টিকিট ক্রয় করতে Add More Ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। Make Payment বাটনে ক্লিক করে পেমেন্ট গেটওয়ে দিয়ে পেমেন্ট সম্পন্ন করে Print Ticket অপশনে ক্লিক করে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
পেমেন্ট করা যাবে ভিসা, মাস্টার বা অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড, কয়েকটি ব্যাংকের কার্ড এবং বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২০
ডিএন/এইচএডি