ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

জাফলংয়ে পর্যটক ফি আদায়ে আইনি বিধান জানতে মন্ত্রীর চিঠি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩২ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২২
জাফলংয়ে পর্যটক ফি আদায়ে আইনি বিধান জানতে মন্ত্রীর চিঠি ছবি: সংগৃহীত

সিলেট: জাফলংয়ে প্রবেশ ফি আদায় নিয়ে পর্যটকদের হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে নানা মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে ১০ টাকা ফি আদায়কে উন্নয়ন কমিটির নামে নীরব ‘চাঁদাবাজি’ আখ্যায়িত করেছেন সুধীজনরা।

এবার প্রবেশ ফি আদায়ের আইনি বিধি-বিধান জানতে চেয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। সেই সঙ্গে তার নির্বাচনী এলাকা রাতারগুল ব্যতীত অন্য সব পর্যটন কেন্দ্রে ফি আদায় বন্ধে জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য মন্ত্রী ইমরান আহমদের সই করা চিঠিতে বলা হয়- ৫ মে সিলেটের জাফলংয়ে প্রবেশ ফি আদায়কে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক ও পর্যটকদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উভয় পক্ষের মারামারির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার হওয়ায় সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো সম্পর্কে ভ্রমণ পিপাসুদের মাধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দেশে এবং বিদেশে এলাকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। যা কখনই কাম্য নয়। তাছাড়া জেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটি কর্তৃক পর্যটন সমূহের প্রবেশ ফি নির্ধারণ এবং আদায়কৃত অর্থ ব্যবহার সংক্রান্ত কোনো আইনি বিধান জারি করা হয়েছে কিনা, তা জানা প্রয়োজন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, আমার নির্বাচনী এলাকার পর্যটন স্পটসমূহের (রাতারগুল ব্যতীত) প্রবেশ ফি সাময়িকভাবে বন্ধকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানকে একাধিকবার ফোন ও ক্ষুদে বার্তা দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৫ মে) দুপুরে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে জাফলংয়ে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের ওপর হামলা করেন প্রশাসনের নিয়োগকৃত স্বেচ্ছাসেবকরা। তারা নারী পর্যটকদেরও শ্লীলতাহানি করেন। জাফলংয়ে প্রবেশ ফি দিয়ে টিকিট কাটতে যেয়ে হামলার শিকার হন তারা। সে সময় স্বেচ্ছাসেবক নামধারী যুবকরা বাঁশের লাঠি দিয়ে পর্যটকদের পেটাতে থাকেন। নারীরা তাদের সঙ্গীদের রক্ষার্থে এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করা হয়। ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ ঘটনায় হামলাকারী ৫ যুবককে আটক করা হয়। পরে দায়েরকৃত মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রকৃতি কন্যা জাফলংয়ে উন্নয়ন কমিটির ধার্যকৃত ফি আদায়ের ঘটনাটিকে যথারীতি চাঁদা আদায় অভিহিত করে বিশ্লেষকরা বলেন, পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দিষ্ট কার্য পরিধির বাইরে গিয়ে উন্নয়ন কমিটির নামে প্রবেশ ফি নির্ধারণ প্রশাসনের এখতিয়ার বহির্ভূত। এর মাধ্যমে পর্যটকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ জন্য জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও পর্যটন উন্নয়ন কমিটিকে দায়ী করছেন বিভিন্ন মহল। এছাড়া পরিচ্ছন্নতার নামে ১০ টাকা চাঁদা আদায়ের ঘটনা জানে না জেলা পুলিশও।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২২
এনইউ/ জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।