ঢাকা: প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবনে ‘পর্যটন গন্তব্যে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
টোয়াব সভাপতি বলেন, মাত্র ১৪০০ জন ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়ে আমাদের বিস্তৃত পর্যটন এলাকা নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে। এটা বাস্তবে কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। পুলিশের কার্যক্রমের সঙ্গে কমিউনিটিকে সংযুক্ত করলে অনেকটা সহজ হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে হবে। একজন মা যেমন, বাচ্চাকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বুকে জড়িয়ে ধরেন। ওই ভাবে ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশদের বুকে জড়িয়ে ধরে এগিয়ে যেতে হবে।
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশি পর্যটকরা পুলিশের নিরাপত্তা পছন্দ করে না। এতে তারা অস্বস্তি বোধ করেন। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। আমাদের দেশে বিদেশি পর্যটক যারা আসেন, তাদের মূল আকর্ষণ হলো পার্বত্য অঞ্চল। এসব জেলাগুলোতে বিদেশি পর্যটকদের পারমিশন নিয়ে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ৭-১০ দিন লেগে যায় একটি গ্রুপের পারমিশন বের করতে। কখনো কখনো পারমিশন রিজেক্টেডও হয়ে যায়। কিন্তু পর্যটকদের জন্য পারমিশনের বিষয় সহজীকরণ করতে হবে এবং অল্প সময়ে মধ্যে অনলাইনেই ব্যবস্থা করতে হবে।
বান্দরবনে লোকাল ট্যুরিস্ট গাইডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবনে ট্যুরিস্টদের নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ডিসিরা অনলাইনে ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। কিন্তু বান্দরবানের ডিসি কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছেন বান্দরবানে যেতে হলে লোকাল ট্যুরিস্ট গাইডের মাধ্যমে যেতে হবে। এই বিষয়টির সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করি। আমাদের সংগঠনের সদস্য যারা গাইড হিসেবে কাজ করেন তারা লোকাল গাইডদের তুলনায় অনেক দক্ষ। বান্দরবানের ডিসি সাহেব কেন লোকাল গাইডদের নিতে বাধ্য করছেন, এটা আমার জানা নেই। আমরা এটার সমাধান চাই।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব (পর্যটন) তাহের মুহাম্মদ জাবেরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ ডিআইজি মো. ইলিয়াছ শরীফ, পুলিশ সুপার ও ট্যুরিস্ট পুলিশ ড. মো. আশরাফুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২
এমএমআই/এসআইএস