বাগেরহাট: নসিমন-করিমন বন্ধের দাবিতে ডাকা দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘটে দর্শনার্থী কমেছে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ ও সুন্দরবনে। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) এই দুই স্থানে স্বাভাবিকের তুলনায় অর্ধেকে নেমেছে দর্শনার্থী।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানাযায়,গত শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ষাটগম্বুজে ৩ হাজারের বেশি দর্শনার্থী এসেছিলেন। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে আজ (২১ অক্টোবর) মাত্র ১ হাজার ৫০০ দর্শনার্থী এসেছেন।
অন্যদিকে গত শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সুন্দরবনের করমজলে অন্তত এক হাজার দর্শনার্থী এসেছিল। এই শুক্রবার (২১ অক্টোবর)তা নেমে দাড়িয়েছে ৪ থেকে ৫শ। অথচ শীতের আগমনে দর্শনার্থীর সংখ্যা গত শুক্রবারের তুলনায় বেশি হওয়ার কথা ছিল।
পাবনা থেকে আসা দর্শনার্থী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঈশ্বরদী থেকে ট্রেনে খুলনা হয়ে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাতে বাগেরহাটে পৌঁছাই। সকালে বাগেরহাট ট্রাফিক মোড় থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে খানজাহান আলী মোড়ে যেতে অন্তত ৫ জায়গায় আমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মাজার ও ষাটগম্বুজ ঘুরে আর খুলনা যেতে পারিনি। বাধ্য হয়ে আবারও হোটেল ফিরেছি, রাজনীতির প্যাচে পড়ে একদিন হোটেলে থাকার ব্যয় বাড়ল।
ঢাকা থেকে পরিবারের ৭ সদস্য নিয়ে নিজস্ব গাড়িতে ঘুরতে এসেছেন ব্যবসায়ী শামীম হাসান। ভোরে আসার পথে কোনো সমস্যা না হলেও, বিকেলে যাওয়ার পথে বেশ কয়েক জায়গায় জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয়েছেন পরিবারটি।
শুধু সিরাজুল ইসলাম ও শামীম হাসান নয়, বাগেরহাটে না জেনে ঘুরতে এসে অনেকেই এমন বিপাকে পড়েছেন।
বাগেরহাট টুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, ষাটগম্বুজ ও সুন্দরবনে আশা দর্শনার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি। টুরিস্ট স্পটের বাইরে সড়ক-মহাসড়কে হয়রানির বিষয়টি আমাদের জানা নেই।
শনিবার (২২ অক্টোবর) খুলনা মহানগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনা জেলা বাসমালিক সমিতির পক্ষ থেকে ২১ ও ২২ অক্টোবর বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিএনপির পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়েছে। যদিও মালিক সমিতির দাবি, সড়ক ও মহাসড়কে অবৈধভাবে নছিমন, করিমন, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিআরটিসির গাড়ি চলাচল করছে। ২০ অক্টোবরের মধ্যে এসব অবৈধ যান চলাচল ও কাউন্টার বন্ধ না হওয়ায় ২১ ও ২২ অক্টোবর পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, ২১ অক্টোবর ২০২২
এমএমজেড