একই কথা বললেন তার স্বামী কামরুল ইসলামও।
বাবা অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, হাজীর বিরিয়ানীর নামে মেলায় যা খাওয়ায় তার মান ভালো না, দামও বেশি।
তিনি বলেন, খাবারের দোকানের কর্মীদের ব্যবহার ভালো না। বসিয়ে খাওয়াতে পারলেই দাম বেশি নেয়।
এদিকে খাবারের মান ও দাম নিয়ে প্রশ্ন করলে অরিজিনাল হাজীর বিরিয়ানীর মালিক হারুন অর রশীদ বলেন, এটা ঠিক নয়। কর্তৃপক্ষ যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তা মোটেই বেশি নয়।
তিনি বলেন, এক হাফ বিরিয়ানী বাইরে ১৬০ এখানে ১৭০। এখানে বাইরের চেয়ে খরচ একটু বেশি।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ ৩টি হোটেল ও ২৬টি ফাস্টফুডের স্টল দেওয়ার কথা বললেও প্রায় অর্ধ শতাধিক ফাস্ট ফুডের স্টল দেওয়া হয়েছে।
গ্রিন হোটেল ও কাবাব হাউজের বাইরে খাবার বিক্রি করতে দেখা গেলো। ওই হোটেলের ম্যানেজার বলেন, স্টলের ভেতরে কাজ চলছে তাই মালামাল বাইরে রাখা হয়েছে। একটু পরেই সরিয়ে নেব।
এদিকে মেলার অভ্যন্তরে যে কয়টি টয়লেট আছে সবগুলোই নোংরা। মেলার পশ্চিম মাথায় ৮ নম্বর টয়লেটের বাইরে চা এর স্টল বসিয়ে কলা-রুটি বিক্রি করছেন রাশেদ। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা গরিব মানুষ, একটু করে খাচ্ছি।
পাশেই সিগারেট বিক্রেতা সুমন বলেন, মেলায় সিগারেট বিক্রির অনুমতি নেই, চুরি করে বিক্রি করছি।
মেলার ভেতরে বেশ কয়েকজন হকারকে বিভিন্ন আইটেম বিক্রি করতে দেখা যায়।
ফুল বিক্রেতা সবুজ বলেন, এক পুলিশ কর্মকর্তা তার আত্মীয়। তার মাধ্যমে মেলায় প্রবেশ করেছেন।
মেলার ভেতরে টোকাই আর ভিক্ষুকদেরও দেখা যাচ্ছে সারাক্ষণই।
রামপুরা থেকে আগত মনিরুল ইসলাম বলেন, এবারের মেলায় অনেক টোকাই দেখলাম, যা আগে দেখিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
আরআর