এদিন সকাল থেকে মেলার প্রতিটি কাউন্টারে দর্শনার্থীদের দীর্ঘলাইন। সারিবদ্ধভাবে তারা মেলার ভেতরে প্রবেশ করছেন।
শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চলমান ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
মেলা প্রাঙ্গণে দেখা যায়, শেষ সময়ে কেনাকাটা করতে রাজধানীবাসী ভিড় জমিয়েছেন মেলায়। এদিন সকাল থেকেই মেলাপ্রাঙ্গণে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলাতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
মোহাম্মদপুর থেকে স্ত্রী-সন্তানকে মেলায় নিয়ে এনেছেন মনির হোসাইন। তিনি বলেন, মেলায় আগে ঘুরতে এসেছি, কেনাকাটা হয়নি। আজ সকাল সকাল এসেছি এরইমধ্যে কিছু কেনাকাটা হয়েছে। মূলত ফার্নিচার কিনতে মেলায় আসা।
রোকেয়া নামে অন্য এক দর্শনার্থী বলেন, যেহেতু মেলা শেষ মুহূর্তে, তাই আজ ঘোরার চেয়ে কেনাকে প্রাধান্য দেব। খুব ভালো লাগছে আজ দর্শনার্থীর চেয়ে ক্রেতা বেশি, আবার পণ্যে ছাড়ও বেশি।
ইয়াছিন আলী নামে এক বিক্রেতা বলেন, আজ আমাদের এখানে যে পণ্য নেবেন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় আছে। মেলার একদিন বাকি থাকায় ছাড় দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু এখনও অনেক পণ্য অবিক্রিত আছে তাই লাভ না দেখে বিক্রিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে খাবারের মান আর মূল্য নিয়ে বিতর্ক থাকায় শেষ সময়েও বিক্রি নেই হোটেলগুলোতে। নান্না, হাজীর বিরিয়ানির স্টলগুলো ফাঁকাই পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
নান্না বিরিয়ানি অ্যান্ড কাবাব হাউজের পরিচালক শান্ত ইসলাম বলেন, প্রথমদিকে অনেক স্টল মূল্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছে। এর প্রভাব তাই শেষদিকেও আছে। এবারের ব্যবসা পুরোটা লোকসানে চলেছে।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে আয়োজিত ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর তিনি মাসব্যাপী আয়োজিত এ মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনু্যায়ী, মাসব্যাপী এ মেলার পর্দা নামবে শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি)। মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এবারই প্রথম মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।
মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল ৪১২টি।
এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো হলো থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।
বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৯
ইএআর/আরআর