এদিন ভোর থেকেই হালকা বৃষ্টিতে সহজেই অনুমান করা যাচ্ছিল বাণিজ্যমেলার প্রথম অর্ধেকের ভাগ্য। দর্শনার্থী ও ক্রেতা সাধারণের পাশাপাশি মেলায় আসতে বেগ পেতে হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে আসা কর্মীদের।
ওয়ালটন প্লাজায় কর্মরত বিক্রয় ব্যবস্থাপক আব্দুল হিমেল বলেন, বুঝতেছিলাম আজ দর্শনার্থীদের সংখ্যা কম হবে। তবুও আমাদের তো আসতে হয়। আমাদের অনেকেরও বৃষ্টিতে আসতে কষ্ট হয়েছে।
এদিকে, দিনের শুরুতে ক্রেতাশূন্য হওয়ায় খানিকটা বিপাকে ব্যবসায়ীরাও। তবে শুরুর কিছু দিন এমন ‘মন্দা’ যায় বলে খুব একটা হতাশা নেই তাদের মধ্যে।
একটি প্যাভিলিয়ানে শাড়ির পসরা নিয়ে বসা জিয়া সিল্ক হাউজের কর্ণধার আমিন উদ্দিন জিয়া বলেন, শুরুর কিছু দিন তো খারাপ যায়। এটা বুঝেই এসেছি। সামনের দিনে ঠিক হবে আশা করি।
এদিকে, বৃষ্টি খানিকটা কমলে দেখা মেলে হাতে গোনা দুই-একজন দর্শনার্থীর। সুমাইয়া ইসলাম নিশু এক দর্শনার্থী বলেন, ঢাকা ছিলাম। আজই বাড়ি চলে যাচ্ছি। ভেবেছিলাম আজ মেলা ঘুরে যাবো। এমনিতে শেষের দিকে প্রচুর ভিড় থাকে। তাই ভাবলাম শুরুর দিকে মেলা ঘুরি। কিন্তু বৃষ্টি তো সব বন্ধ করে দিলো।
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ করে জুম্মার নামাজের পর বৃষ্টি না থাকলে মেলায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শনার্থীর আগমন হবে বলে প্রত্যাশা ব্যবসায়ী ও মেলা আয়োজকদের।
এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিনিধি মঞ্জুর পান্না বলেন, বেলা বাড়লে আর বৃষ্টি কমলে দর্শনার্থী আসবে। বৃষ্টি এখন কিছু কমছে। তারপরও আবহাওয়ার ওপর তো কারো হাত নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৯
এসএইচএস/আরবি/