অনেক দিন থেকেই শখ ছিলো উঁচু পাহাড় দেখার। সেখান থেকেই শিলং যাওয়ার প্ল্যান।
ইমিগ্রেশনের ঝামেলা শেষ করে ডাউকি বর্ডার থেকে ১৬০০ রুপির চুক্তিতে সুমো (লোকাল জিপ) নিয়ে রওনা হয়ে গেলাম। পথের চমৎকার সব দৃশ্য দেখতে দেখতে পৌঁছে গেলাম শিলং পুলিশ বাজার। হোটেল ঠিক করে বের হলাম পরদিনের ট্যুর প্রোগ্রাম ঠিক করতে। শিলং এ সাইট সিইং এর জন্য সরকারিভাবে ব্যবস্থা রয়েছে। পরদিন সকাল ৯টায় বাসে রওনা হলাম চেরাপুঞ্জির উদ্দেশে।
পথের চমৎকার সব পাহাড় এবং আকর্ষণীয় স্থান দেখতে দেখতে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
পরদিন আবার একই সময় বের হলাম শিলংয়ের সব আকর্ষণীয় স্থানগুলো দেখতে। চমৎকার একটি দিন কাটিয়ে হোটেলে ফিরে এলাম। পরদিন সুমোতে করে রওনা হলাম গৌহাটির উদ্দেশে। গৌহাটিতে কামাখ্যা মন্দির এবং আসাম জাদুঘর পরিদর্শন শেষে হোটেলে ফিরে এলাম।
সন্ধ্যায় বের হলাম শহর দেখতে। মোটামুটি ছিমছাম শহর গৌহাটি। বিগ বাজার থেকে টুকটাক শপিং সেরে ফিরে এলাম হোটেলে। পরদিন সকালে শিলংয়ের উদ্দেশে রওনা হলাম। সারাদিন শিলংয়ের শহরটা ঘুরলাম। বেশ চমৎকার গোছানো একটা শহর।
শিলং এবং গৌহাটিতে ৭০০-১০০০ রুপির মধ্যে মোটামুটি মানের হোটেল পাওয়া যায়। খাবার দাবার নিয়ে অনেকে সমস্যায় পড়তে পারেন। আমরা অবশ্য কয়েক বেলা ডমিনাস পিজ্জার উপরেই নির্ভরশীল ছিলাম।
৫ম দিন আমরা শিলং থেকে ডাউকির উদ্দেশে রওনা হয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ যাওয়ার পর আমাদের ঘিরে ধরলো মেঘ।
অনেকক্ষণ চলার পর দেখা মিলল পরিষ্কার আকাশের। বিকালের দিকে আমরা পৌঁছে গেলাম ডাউকি। চমৎকার কয়েকটি দিন কাটিয়ে তারপর রাতের বাসে করে সেই চিরচেনা ঢাকায় ফিরে এলাম।
প্রিয় পাঠক, ভ্রমণ যাদের নেশা, বেড়ানোর সুযোগ এলে যারা উড়িয়ে দেন সব বাধা, কাজের অংশ হিসেবে যারা ভ্রমণ করেন কিংবা যাদের কালেভদ্রে সুযোগ হয় ভ্রমণের তারা সবাই হতে পারেন ট্রাভেলার্স নোটবুক’র লেখক। আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন বাংলানিউজের পাঠকদের সঙ্গে।
আর একটা কথা লেখার সঙ্গে ছবি পাঠাতে ভুলবেনই না, সেই সঙ্গে বাতলে দিন সেখানে যাওয়ার পথঘাটের বিবরণও।
প্রিয় পাঠক, আপনার ভ্রমণ আনন্দ বিশ্বজুড়ে বাঙালির কাছে ছড়িয়ে দিতে আমাদের ই-মেইল করুন bntravellers.notebook@gmail.com এই ঠিকানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৪