মির্জা নাথান ছিলেন মুঘল নৌবাহিনীর কর্তাব্যক্তি। মুঘল এই কর্তা কর্তৃক রচিত বাহারিস্তান-ই-গায়বী গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে ভাটির দেশে যুদ্ধ করতে আসা মুঘল সেনাদের পরিতাপের কাহিনী।
বর্ষায় সহসা পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢল ডুবিয়ে দেয় অঞ্চলের পর অঞ্চল। আর তাতে বিভ্রান্ত-দিশেহারা মুঘল বাহিনী যুদ্ধে পিছু টান দিয়ে ডিঙি ভেড়ায় ঘাটে। আগে নিজে বাঁচো বাপধর, তারপর না যুদ্ধ! এ জলের দেশ, এ তরঙ্গময় কলতালের বৈভব নিয়ে বর্ষা রচনা করে। সেখানে এসে জলে অনভ্যস্ত মুঘল বাহিনীর তো এমনই হওয়ার কথা!
কিন্তু আমরা ভাটির দেশেরই মানুষ। জল আমাদের চেনা আছে। তবে কী, ভাটির হলেও থাকি উজানে। ফলে ভাটির কথা শুনলে ভয় ভয় লাগে। মনে হয় পানি যদি আমাদের গিলে খায়। পানি যদি আমাদের নিয়ে নেয়। একটা বিড়াল যেমন মাছ পেলে ওটাকে নিয়ে বৃত্তাকালে ঘুরে। আমাদের মাথায়ও এমনসব ভাবনা রওনা দেয়ার আগ পর্যন্ত ঘুরছিল বৈকি। তারপরও রওনা করে দিই এবং এক বর্ষার সকালে হাজির হই সুনামগঞ্জ।
দলে ৯ জন। হিসেবে বেজোড় যে একজন হয়, সে আমিই। কিন্তু বাস্তবিক বেজোড় ৩ জন। অমিত দা, সুমন (বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে পালিয়ে এসেছে যে বালক তার নাম সুমন) আর আমি। সঙ্গে নৌকার চারজন, যার নেতৃত্বে রতন দা। এমন একটা আবহ টাঙিয়ে সুরমা নদীর বহমান ভাঁজের ভেতর দিয়ে আমরা রওনা হই। দুইদিনের যাত্রাপথ; গন্তব্য টাঙ্গুয়ার হাওর, পথে শনির হাওর এবং বাচ্চাকাচ্চা টাইপের যে কটা হাওর পড়ে, ওদেরও অতিক্রম করতে হবে।
সকালে রওনা দেওয়ার আগে দুইদিনের সংসার পাতার জন্য যা যা দরকার, তাও কিনে নেওয়া হলো। চাল-ডাল-তেল-মরিচের সঙ্গে বিলেতি মুরগি। সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। ফলে প্রথমদিন দুপুরের মেন্যু ঠিক করা আছে খিচুড়ির সঙ্গে চিকেন, বিলেতি চিকেন।
তো সুরমা নদীর ভাঁজ ধরে আমাদের ট্রলার এগোতে শুরু করলো। নদীর স্রোত বেশ একটা রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে। রোমাঞ্চ এমনই যে, মাঝে মাঝে চোখ চলে যায় লাইফ জ্যাকেটের দিকে। তার মধ্যে আবার ইঞ্জিনের ফিতা ছিড়ে ট্রলার মুহূর্তেই স্রোতের টানে ভাটিতে নেমে যাচ্ছিল। সে মিনিট ৫ হবে। এর মধ্যে আমাদের রতন দা ট্রলারের দড়ি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরপর কোনোমতে টেনে তা তীরে ভেড়াতে সক্ষম হয়। এরকম একটা মৃদু নাটকীয়তা শেষে একটু বিরতি। তারপর ট্রলার আবার চলছে শুরু করে। আমরাও মনের আনন্দে আকাশের কালো মেঘ দেখতে থাকি, নদীর স্রোত দেখতে থাকি, দেখতে থাকি হাওরের মানুষের জল বেয়ে চলে যাওয়া।
যাত্রার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আমাদের ট্রলার হাওরে ঢুকে পড়ে। এতে একটু একটু করে বাড়তে থাকে পানির সীমানা, আর দূরবর্তী হতে থাকে ঘরবাড়ি। একটু শঙ্কা তো জাগেই, মনে হয় এই অথৈ জলের সীমায় এসে যদি হারিয়ে যাই। যদি আর না ফিরতে পারি কোলাহলমুখরতায়। তাহলে! তাহলে কিচ্ছু যায় আসে না, তাও জানি।
কালো মেঘ ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। ট্রলারের উপর টানানো সামিয়ানা চুইয়ে ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়ছে। ছাদে আর থাকা হলো না। ফলে আড্ডাটা ভেতরেই স্থানাস্তরিত হলো। আড্ডা, চিপস, চানাচুর, কার্ড, একটু-আধটু জল পান, আর জানালা গলিয়ে যেটুকু হাওর দেখা যায়। আর মাথা থেকে শহর নেমে গিয়ে তা বৃষ্টির ফোঁটা দখলে নিল। চোখ খুঁজতে থাকলো এই হাওরের আরো দুটা চোখকে, চিরকালের বাসনার মতো। এভাবে চলল দুপুরের দিকে যাত্রা। ট্রলার হাওর থেকে নদীতে, আবার নদী থেকে হাওরে গিয়ে পড়ছে।
হাওরের এক নদীতে এসে ট্রলারের গতি কমে গেল (যদিও নদী বা হাওর এই বর্ষায় মিলেমিশে একাকার)। থামার আগেই আমরা জেনে যাই, জেলের জালে ধরা পড়া কালবাউসের কথা। জেলের নৌকার পাশে ট্রলার থামামাত্র জেলে পাটাতন থেকে চার চারখানা কালবাউস তুলে আনে। এর মধ্যে একটা এতো এতো বড় যে, জীবনভর চক্ষু মেলিয়া রাখলেও এর আগে দেখার সৌভাগ্য হয় নাই। ফলে কালবিলম্ব না করে কিনে নেওয়া হলো মৎস্যহালি। এবং ঘোষণা হলো, লাঞ্চে।
এই দিগন্তবিস্তৃত বারিপতনময় জলতরঙ্গে ভেসে ভেসে আমরা যে লাঞ্চ সম্পন্ন করব, তাতে খিচুরির সঙ্গে চিকেন এবং কালবাউস ফ্রাই। ফলে জীবন সহসা বিরাট অর্থবহ একটা ঘটনা হয়ে দাঁড়ালো।
দূরে দূরে বসতবাড়ি দেখা যায়, কখনও কখনও কয়েকটি বাড়ি একসঙ্গে। প্রায় প্রতিটি বাড়ির ঘাটে একটা নৌকা। বাড়ি ভেদে ছোটবড় আছে, মানে সামর্থ অনুযায়ী কারো মার্সিডিস, কারো বিএমডব্লিও, কারো বা টাটা ন্যানো।
ট্রলার চলছে, সারাদিন ধরে চলবে। শনির হাওরের প্যাঁচানো স্রোতের ভেতর দিয়ে যেতে যেতে পাওয়া গেলো মরা গরু, জামা, আর নানা জিনিসের ভেসে যাওয়া। এ বোধহয় এখানকার বর্ষার নিত্যকার ঘটনা। দু’একটা মানুষ ভেসে গেলেও বোধহয় চমকানোর কিছু নেই। জলই এখানে সর্বংসহা। মনে হলো কিছু চোখও দেখা হয়ে গেছে এরই মধ্যে। জল ছুঁই ছুঁই উঠোনে দাঁড়িয়ে যারা প্রতি বর্ষায় জীবনকে এভাবেই পাঠ করে। যারা বিকালের আলো ফুরিয়ে যাওয়া দেখতে দেখতে গুণ গুণ করে গেয়ে ওঠে, ‘কে যা যাস রে ভাটি গাঙ বাইয়া/আমার ভাইধন রে কইয়ো, নাইওর নিতো বইলা/তোরা কে যাস কে যাস...’।
হাওর জুড়ে কত যে দৃশ্য। আনন্দ দৃশ্য থেকে শঙ্কারই বেশি। একটা বাড়ি একদম আলাদা হয়ে গেছে। এক পাশে নদীর বিপুল স্রোত, অন্যপাশে সে স্রোতের উত্তাপও বহমান। বাড়ির উঠোন ঘেঁষে বনের ঢিবি, পাশে একটা গরু বাধা আছে। বাড়িটার এমন এক পরিস্থিতি যে, হয়তো আজ রাতেই উধাও হয়ে যাবে, বা টিকেও যেতে পারে। টিকে গেলে তো সমস্যা নাই। কিন্তু ঘুমগ্রন্ত এই বাড়ির মানুষদের নিয়ে যদি বিলীত হয়ে যায় ঘরটা, তাহলে? কী এক অনিশ্চয়তার ভেতর দিনরাত কাটে এই জলঘেরা মানুষগুলোর।
ট্রলার শনির হাওর পেরিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরে ঢুকে পড়েছে। হাওরজুড়ে হিজল আর করচি আর নলখাগড়া, পানির উপরে আশ্রয়ের মতো মাথা তুলে দাঁড়িয়ে। এর মধ্যে লাঞ্চের সময় কখন পেরিয়ে গেছে। মনে যখন পড়লো, তখন সবার গোসলের ধুম। একটা হিজল গাছের সঙ্গে ট্রলার বেঁধে তিন বীরপুরুষ- অমিত দা, শুভ, শামস হাওরে ঝাঁপিয়ে পড়লো। আমারও ঝাঁপ দেয়ার কথা, তবে কী ঝাঁপ দেওয়ার সাহস নাই বলেই তো এখনও ব্যাচেলর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাওরের পানিতে ঝাঁপ দিতে হলো। ঝাঁপ দেওয়া আমাদের বুঝি নিয়তির নাম।
আমাদের গন্তব্য যে টাঙ্গুয়ার হাওর, তাকে স্থানীয়ভাবে বলা হয়- নয় কুড়ি কান্দার, ছয় কুড়ি বিল (যদিও বিলের সংখ্যা ছয় কুড়ি নয়)। এর অবস্থান তাহিরপুর, মধ্যনগর ও ধর্মপাশা এই তিন উপজেলা জুড়ে। এ হাওর ৫১টি বিল নিয়ে, আর একে বেষ্টন করে আছে ৮৮টি গ্রাম। দৈর্ঘ্যে ১১ কিলোমিটার এবং প্রস্থ সাত কিলোমিটারের এই হাওর বর্ষায় আয়তন দাঁড়ায় ২০ হাজার একর।
এখানে শকুন, পানকৌড়ি, বেগুনি কালেম, ডাহুক, বালিহাঁস, গাঙচিল, বক, সারস, কাক, শঙ্খচিল, পাতি কুট এমন কতশত পাখি। শীতে তো পরিযায়ী পাখির কলরবে হাওর হয়ে পড়ে কনসার্টের ময়দান।
আমাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পৌঁছতে বিকাল, যদিও পুরো হাওরই আমাদের গন্তব্য আসলে। টাঙ্গুয়ার হাওরেরই একটা গ্রাম, তার পাশে ফরেস্টের নির্মাণাধীন এক অফিস, সেখানেই আমাদের ট্রলার থামে। বিকালটুকু, সন্ধ্যা, রাতটুকু এই ট্রলারের কাটাতে হবে।
আড্ডা, ছোট্ট আরেকটি ট্রলারে করে পাশের বাজারে যাওয়া, শুভ সাহেবের বরশি দিয়ে মাছ ধরার ব্যর্থ চেষ্টা, আর জলপান, আর কার্ড এভাবে মধ্যরাত পেরিয়ে গেলো। তারপর ঘুম-জলে ভাসা ট্রলার, তাতে মাথার নিচে রেখে দেয়া একটি রাত মন্দ তো নয়।
তবে এর ভেতর এক/দু’বার হাওরের ডাকাতির কথা মনে পড়লো। কিন্তু ট্রলার তো ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের, তার উপর হাওরের বড় ডাকাত সর্দারের নাম্বার আমাদের মোবাইল সেটে। তিনি জানেন অতিথি নারায়ণরা আজ রাতে এখানে থাকবেন। ডাকাতি হয়নি, তবে চুরির চেষ্টা হয়েছে এবং সে ষড়যন্ত্রের হাত আমরা মটকে দিয়েছি।
ঘুমের ভেতরই টের পেলাম ট্রলার চলতে শুরু করেছে, গন্তব্য হাওরের শেষ মাথা-টেকেরঘাট। টেকেরঘাটের পাশে মেঘালয়। মেঘালয়ের পাহাড়গুলো এসব হাওরের পানির উদ্গাতা। ট্রলার ঘণ্টা দুই চলার পর টেকেরঘাট পৌঁছতে সক্ষম হই। আর রাত থেকে যে বৃষ্টির ধারাপাত, তা অব্যাহত। ফলে পুরো পথ জানালা দিয়ে উঁকিঝুঁকি দেওয়া ছাড়া কোনো গত্যন্তর ছিল না। কিন্তু টেকেরঘাট পৌঁছার পর বসে থাকা আর সম্ভব হলো না, বৃষ্টির মধ্যেই নেমে পড়ি।
সামনে পাহাড়, মেঘ তাতে হেঁটে বেড়াচ্ছে লাইন ধরে। এই দৃশ্য বেশিক্ষণ দেখতে হলো না, ধারাপাতে সব মেঘ ফুরিয়ে গিয়ে শেষে পাহাড় তার সবুজ আঙিনাই শুধু বিছিয়ে রাখলো।
এখানে এসে দেখলাম, হাওরের সঙ্গে পাহাড়ের মিলন। পাহাড়ের কোল ঘেষে মেঘ জড়ো হচ্ছে, আবার যাচ্ছে ফতুর হয়ে। এমন একটা খেলা চলছে। এর মধ্যে আমরা কয়েকজন- শুভ-তুষার, সুমন-ফারুক বাজারের খুঁজে বেরিয়ে পড়লাম।
সকালের জন্য ডিম সংগ্রহ অভিযান আর দুপুরের জন্য অন্য কিছু। কিন্তু আমরা বাজারে না গিয়ে চলে যাই বারিক টিলায়। টিলাখানা নেমে গেছে যাদুকাটা নদীতে, মানে টিলাই নদীর পাড়। মেঘালয়ের পাহাড় থেকে নেমে আসা এই যাদুকাটার রূপ যেমন, রাগও তেমন। পাহাড় থেকে নেমে আসা স্রোতের তোরে ভেসে যাচ্ছে ছোট ছোট ডিঙি, যেন এখনই ডুবিয়ে দিবে, এক্ষুণি নিয়ে নেবে। বারিক টিলা দু’টি আদিবাসী গ্রাম আছে। গ্রাম ঘুরে দেখা সম্ভব হলো না।
এতোদিন পশ্চিম বাংলার কবিতা পড়েছি, এবার দেখলাম মেঘালয়ের ঝর্না। দূর থেকেই টের পাওয়া যায় এ মেঘালয়েরই, এ মেঘের আলয় থেকে নেমে আসা সাদা বারিপাত। এখানকার বর্ণনা দিলে শুরু করলে হেক্টরের জন্য যে পরিমাণ শব্দ ব্যয় হয়েছে ইলিয়ড’-এ, আমারও তার থেকে কম হবে না। ফলে শব্দ রেখে দিলাম, যারা যাবেন, তাদের চোখের জন্য।
ফেরার পালা এবার। ফিরতে গিয়ে একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি, ঢেউ, অঢেল জল, দূরে পাহাড় এমনসব দৃশ্য। তবে পুনরাবৃত্তির বাইরে একটা ব্যাপারই ঘটল, মাঝপথে এসে আমি জ্ঞান হারালাম। কেন যে জ্ঞান হারালাম তা স্পষ্ট নয়। হাওর আমাকে ঘিরে থাকলেও হাওরের জল আমি তো খাইনি, তাহলে। যাক যখন জ্ঞান ফিরে মোটামুটি স্বাভাবিক হলাম, তখন রাত ৩টা, ঢাকার কাছেই যে। ফলে পুনরাবৃত্তি বেশি আর হলো কই?
তবে ঢাকায় ফিরে দেখতে পেলাম, আমার সঙ্গীসাথীরা আমরা নতুন একখানা বস্ত্র, একখানা টাওয়েল, এবং আস্ত একটা ব্যক্তিগত বিকাল হাওরে ফেলে দিয়েছ। কেন দিয়েছে, জানেন? এই কথা ওদের জিজ্ঞেস করামাত্র সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ল, বলল, ব্যাটা তোরে যে ফেলি নাই, তাই বেশি। এমন প্রশ্নে বয়সে ছোট বালক-বালিকারা যখন আমারে তুই-তোকারি করছে, তখন বুঝলাম নিশ্চয় আমি কিছু একটা করেছিলাম। ফলে কেন যে ফেলল, তা আমার কাছে অজানাই থেকে গেলো।
কীভাবে যাবেন : ঢাকা থেকে এনা পরিবহনে সুনামগঞ্জ, ভাড়া ৫৫০ টাকা। এসি বাস নাই, ফলে নন-এসিই ভরসা। সুনামগঞ্জে সুরমা নদী থেকে ট্রলার পাওয়া যায়। অনেক ট্রলার আছে, রাতে থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে তা না হলে ফিরে আসতে হবে সুনামগঞ্জ বা টেকেরঘাট গিয়ে থাকতে হবে। তবে বর্ষার টাঙ্গুয়ার হাওর হয়ে দিনে দিনে ফিরে আসা সম্ভব নয়। শীতে অবশ্য মোটর বাইকেও যাওয়া যায়।
প্রিয় পাঠক, ভ্রমণ যাদের নেশা, বেড়ানোর সুযোগ এলে যারা উড়িয়ে দেন সব বাধা, কাজের অংশ হিসেবে যারা ভ্রমণ করেন কিংবা যাদের কালেভদ্রে সুযোগ হয় ভ্রমণের তারা সবাই হতে পারেন ট্রাভেলার্স নোটবুক’র লেখক। আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন বাংলানিউজের পাঠকদের সঙ্গে।
আর একটা কথা লেখার সঙ্গে ছবি পাঠাতে ভুলবেনই না, সেই সঙ্গে বাতলে দিন সেখানে যাওয়ার পথঘাটের বিবরণও।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৪