ক্যাম্পাস জীবনের প্রতিটি ক্ষণ যদি হয় সুন্দর আগামীর পথে প্রেরণা, তাহলে ঘুরতে যাওয়া হবে সেই আগামীকে কাছে থেকে দেখা, জীবন সম্পর্কে নতুন করে জানা। এমনই নতুনের সন্ধানে আমারা গিয়েছিলাম পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে, যেখানে ঐতিহ্য ও সভ্যতার ইতিহাস একই ধারায় উৎসারিত ।
হ্যাঁ, আমাদের কথাই বলছি, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন পরিবার। গত চারটি বছর প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজতে গিয়ে যখন ক্লান্ত পথিকের ন্যায় হয়রান, ঠিক সেই মুহূর্তেই বাস্তবতার ঘোর কাটিয়ে স্বপ্নের মত আবির্ভূত হল প্রাণরসায়ন (ব্যাচ- ৫৮) পরিবারের শিক্ষা সফর-২০১৪।
অবশেষে ১৫ অক্টোবর ২০১৪, সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসল। ভারতের মাটিতে পা রাখা মাত্র সবার চোখে মুখে এক ধরণের রোমাঞ্চ কাজ করছিল, তার পরের দিনগুলো আরও বেশি রোমাঞ্চকর ও ইতিহাসকে জানার মধ্যে দিয়েই কাটল।
ভারতে প্রথম আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল স্থাপত্যের শহর কলকাতায়। এরপর একে একে মোঘল সম্রাট শাহজাহানের অমর সৃষ্টি আগ্রার তাজমহল, যেখানে প্রেম আর ভালবাসা এক বিশ্বজনীনতায় রূপ নিয়েছে। ভালবাসার নির্যাসটুকু সঙ্গে নিয়ে পৌঁছালাম পিঙ্ক সিটি জয়পুরে। তারপর মনে প্রাণে অদম্য শক্তি আর রাজ্যের রহস্য নিয়ে পৌঁছালাম দিল্লি। শুভ্র বরফের আচ্ছাদনে পাহাড় ঢাকা শিমলার পথে আমরা। শিমলা যেখানে শেষ সেখানে নীল আর সাদার এক অপূর্ব সম্পর্ক তৈরি করে মানালি।
পাঞ্জাব, জম্মু হয়ে আবারও কলকাতায় আমরা। দেখতে দেখতে চলে গেল ১৫ দিন, রয়ে গেল অজস্র সুখময় স্মৃতি। ২৯ অক্টোবর , ২০১৪ সকলের চোখে মুখে ক্লান্তি আর বিষাদের ছাপ। যেন স্বপ্ন সত্যি হয়ে আবারও বাস্তবতায় ফিরে এলাম প্রিয় আপন মাতৃভূমিতে । আমাদের অস্তিত্বের শেকড় বাংলাদেশ, আমাদের বাংলাদেশ। মনে হল যেন আসলাম, দেখলাম, জয় করলাম......এক নতুন প্রাণের অস্তিত্বকে যেখানে মানুষে মানুষে একই বন্ধনে আবদ্ধ যুগ থেকে যুগান্তরে ।
দীপ ভৌমিক
এমএস (বাচ-৫৮)
প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৫