ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

এথেন্স থেকে জাহিদুর রহমান

রোদ চশমায় ভাগ্যবদল আনোয়ারের

জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৬
রোদ চশমায় ভাগ্যবদল আনোয়ারের ছবি - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

এথেন্স, গ্রিস থেকে: এসেছিলেন শূন্য হাতে। এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে গড়ে তুলেছেন চশমা, রোদ চশমা আর ঘড়ির বিশাল এক সাম্রাজ্য। ইউরোপের তীব্র অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে জমজমাট ব্যবসা তার।

বিশেষ করে গ্রিসের বিভিন্ন দ্বীপে পর্যটকদের চোখে শোভা পায় তার রোদ চশমা। তিনি দেওয়ান আনোয়ার হোসেন। অমনিয়ার সোফোক্লেওস সড়কে রয়েছে তার ‘দেওয়ান অপটিক্যাল শপ’ নামে বিশাল চশমার সাম্রাজ্য।

ভাগ্য অন্বেষণে মাদারীপুরের পাইদি গ্রামের হাজি আব্দুল সাত্তার দেওয়ানের ছেলে দেওয়ান আনোয়ার হোসেন চলে আসেন ইউরোপে। সময়টা ১৯৯৮ সাল। ছাত্র ভিসায় প্রথমে প্রবেশ করেন জার্মানিতে।

তারপর দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইটালি হয়ে চলে আসেন গ্রিসে।

শুরুটা ছিলো রেস্টুরেন্টের ওয়েটার হিসেবে। বেতন মাত্র ১৫শ দ্রাকমা (ইউরো প্রচলনের আগের স্থানীয় মুদ্রা)। ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু করেন নিজ উদ্যোগে ব্যবসা। ইটালি থেকে নানান ব্র্যান্ডের ঘড়ি, চশমা আর রোদ চশমা পাইকারি মূল্যে কিনে তা সরবরাহ করেন গ্রিস ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। ব্যবসার ভলিয়মটাও কম নয়। প্রতিমাসে বিক্রি হয় প্রায় লাখ ইউরো।

দেওয়ান আনোয়ার হোসেনের এই ব্যবসা দেখভাল করতে দেশ থেকে নিয়ে এসেছেন ছোটভাই দেওয়ান সাইদুর, ভগ্নিপতি সাব্বির আহমেদ আর ভাগ্নে আহমেদ জামানকে।

আনোয়ার বলেন, তীব্র অর্থনৈতিক খরার মাঝেও আমরা ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছি। আমরা বাংলাদেশি। আমরা জানি, প্রতিকূলতার মাঝেও কি করে টিকে থাকতে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৬
এএ

** গ্রিক নারীর বাংলাদেশ প্রেম
** উত্তরগুলো কেবল অসহায় চাহনিতেই!
** বিদেশি সতীনেও কষ্ট নেই, আছে সুখ!
** ডিশ ওয়াশার থেকে ২ রেস্টুরেন্টের মালিক আকুল মিয়া
**জার্মানিতে বিয়ে বা দত্তক- এতে যায় কষ্টের বহু অর্থ
**পেট্রোলপাম্পেও নিজের কাজ নিজে করো নীতি
**সততা-একাগ্রতাই এগিয়ে নিয়েছে কাজী সুরুজকে
**‘সেই সংগ্রামই সাফল্যের পথপ্রদর্শক’
** আস্থার সংকটে বাংলাদেশ–জার্মানি সম্পর্ক!
** বিমানবন্দরে বাংলাদেশের হাসি

** নিজেই মুমূর্ষু জার্মানির বাংলাদেশ দূতাবাস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।