ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

বিস্ময়রাজ্য বাটাম দ্বীপের কথা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৬
বিস্ময়রাজ্য বাটাম দ্বীপের কথা

বাটাম দ্বীপ।  বাংলাদেশে বসে বাটাম দ্বীপের কথা শুনে কেউ চোখ কপালে তুলে জিজ্ঞেস করতে পারেন, সত্যিই কি এই নামে কিছু আছে নাকি, থাকলে কোথায়? আবার কেউ কেউ চোখ আরও উপরে তুলে বলতে পারেন, ও! বাটাম দ্বীপ! সে-তো ইন্দোনেশিয়ায়, অসাধারণ, চমৎকার, বৈচিত্র্যময়!

প্রিয় পাঠক, চলুন বেড়িয়ে আসি মনকাড়া সুন্দর বাটাম দ্বীপে, যার পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে রোমাঞ্চ।

যে দ্বীপ এখন সিঙ্গাপুরপ্রবাসী বাংলাদেশিদের বেড়ানোর অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। বিনা ভিসা অর্থ্যাৎ অন-এরাইভাল ভিসার সুযোগে ইন্দোনেশিয়ার এই ছোট দ্বীপটি এখন নাগালের মধ্যেই। সিঙ্গাপুরপ্রবাসীরা তো বটেই, সুযোগ ছাড়ছেন না ডাবল এন্ট্রি ভিসার সুবাদে সিঙ্গাপুরে নানা কাজে বেড়াতে যাওয়া বাংলাদেশিরাও। গত জুনে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ব্রডকাস্ট এশিয়া মেলায় গিয়ে সুযোগটি হাতছাড়া করিনি আমিও। রথ দেখা আর কলা বেচা, মেলা শেষে বাটাম ভ্রমণ।

সিঙ্গাপুর থেকে নৌপথে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে বাটাম, এতটাই কাছে যে সিঙ্গাপুরের সাগরপাড়ের উঁচু ভবন থেকে ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপগুলোর দিকে তাকালে সহজেই চোখে পড়ে যায় রৌদ্রস্নাত বাটাম।

দক্ষিণ চীন সাগরের সুমাত্রা থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে গোল হয়ে বেকে আনামবাস দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা দু’হাজার চারশরও বেশি দ্বীপ নিয়ে রিয়াও রাজ্যেটি। তারই একটি দ্বীপ বাটাম, স্থানীয় নাম কোটামাড্যা। বালি আর জাকার্তার পর ইন্দোনেশিয়ার তৃতীয় ব্যস্ততম প্রবেশদ্বার এবং অষ্টম বৃহত্তম শহর। আয়তন সিঙ্গাপুরের সমান, ১ হাজার ৫৯৫ বর্গকিলোমিটার।  ৬টি দ্বীপাঞ্চলে ১৪টি জেলা।  জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ লাখ।

ব্রডকাস্ট মেলাতে গিয়ে বাটাম যাবার লোভটা দেখালেও সময় বের করতে না পারায় যেতে পারেননি সময় টেলিভিশনের পরিচালন প্রধান আকতার বাবু। আমার সফরসঙ্গি চ্যানেল নাইনের বিপণন প্রধান নূরুল ইসলাম খান খসরুও অফিস দায়িত্ব ফেলে যেতে নারাজ, অনুষ্ঠান প্রধান তানভীর খানের অন্য ব্যস্ততা। গেলেন শুধু যমুনা টেলিভিশনের ব্রডকাস্ট প্রধান আরিফুর রহমান আর ডিবিসি’র ব্রডকাস্ট প্রধান হামিদ মুকুল, তাও মেলা শেষের বিকেলেই। ঘন্টা দু’য়েক ছিলেন। জায়গাটি সুন্দর, নিরাপদ আর যাতায়াত সহজ।  তাদের ভরসায় পরদিন ৪ জুন একাই রওনা হলাম বাটামে। অবশ্য সেখানে গিয়ে পেয়েছিলাম সিঙ্গাপুরপ্রবাসী বাংলাদেশি কয়েকজনকে।

সিঙ্গাপুর শহরের হার্বারফ্রন্ট থেকে বাটামের ফেরি ছাড়ে প্রতি ঘন্টায়। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক ফেরিতে যাওয়া-আসায় খরচ ৪৮ সিঙ্গাপুরি ডলার।  ১২টার টিকেট কাটলাম।  ইমিগ্রেশন শেষ হল মাত্র ৫ মিনিটে।  দু’শর মতো যাত্রী, বেশিরভাগই সিঙ্গাপুরি বলে মনে হল।  সিঙ্গাপুর প্রণালি ধরে ফেরি ছুটে চললো বাটামের দিকে।  ১০৫ কিলোমিটার লম্বা আর ১৬ কিলোমিটার প্রস্থের প্রণালিটি পশ্চিমে মালয়েশিয়ার মালাক্কা প্রণালি, পূর্বে দক্ষিণ চীন সাগরের সাথে যুক্ত। উত্তরে সিঙ্গাপুর আর দক্ষিণে ইন্দোনেশিয়ার রিও দ্বীপরাজ্য।

একপাশে সানতোসা আইল্যান্ড আরেকপাশে সিঙ্গাপুর সমুদ্রবন্দরকে রেখে ফেরি এগুচ্ছে সামনে।  ব্যালকনিতে গিয়ে পেছনে তাকাতেই সাগরপাড়ের সিঙ্গাপুর শহরকে দেখলাম অন্য এক সৌন্দর্যে, নীল আকাশের সাথে মিতালী করে দাঁড়িয়ে আছে মেরিনা বে, ফ্লায়ারসহ বিশাল উচ্চতার স্থাপনাগুলো। খানিকপরই পেলাম বহিঃনোঙ্গর। ভাসছে সারি সারি মাদার ভ্যাসেল।

ফেরিতেই পেলাম সিঙ্গাপুরপ্রবাসী দুই বাংলাদেশি আবদুর রশিদ ও মো. সেলিমকে।  ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। আলাপে জানালেন বিনা ভিসার সুবিধা নিয়ে তারা আগেও একবার বাটাম গেছেন।  সস্তা খাবার আর শপিংয়ের আকর্ষণেই বারবার যাওয়া।

দূর থেকে চোখে পড়ল পাহাড়ের গায়ে খচিত ‘ওয়েলকাম বাটাম’।  বরাবর ১ ঘন্টায় ফেরি ভিড়ল বাটাম সেন্টার আন্তর্জাতিক টার্মিনালে। ঝকঝকে, তকতকে আধুনিক টার্মিনাল।  ভিসা ফি কাউন্টারে মালায় তরুণীটি পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিয়ে জানালেন ফি লাগবে না।  ভিসার সাথে ফিও মাফ।  অবশ্য বিমানবন্দর দিয়ে আসলে ৩০ ডলার দিতে হতো। আবারো পাঁচ মিনিটেই শেষ হলো ইমিগ্রেশন। সিল পড়লো পাসপোর্টে, ভ্রমণের তালিকায় যুক্ত হলো আরও একটি নতুন দেশ, ইন্দোনেশিয়া। ধন্যবাদ প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডেকে, যিনি গত এপ্রিলে বাংলাদেশের জন্য ইন্দোনেশিয়ার ভিসামুক্ত সুবিধা দিয়েছেন।

টার্মিনালের মূল ভবনে তথ্যকেন্দ্র, মানি এক্সচেঞ্জ, খাবারের দোকান, সুভেনিয়ার শপ সবই আছে। তথ্যকেন্দ্র থেকে বাটাম নির্দেশিকা নিলাম।  মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ভাঙালাম ডলার।  ২০ সিঙ্গাপুরি ডলার ভাঙিয়ে পেলাম প্রায় দুই লাখ ইন্দোনেশিয়ান রূপি। পঞ্চাশ হাজার, বিশ হাজার, দশ হাজার টাকার মুদ্রা।  বাংলাদেশি ১২’শ টাকা। এতেই কিন্তু হয়ে গিয়েছিল খাওয়াসহ বাটাম দেখার পুরো খরচ। আসলেই সাশ্রয়ী জায়গা।

ইলেকট্রনিক্স পণ্যের কারখানা, বিশাল এবং বাড়তে থাকা জাহাজ মেরামত শিল্প এবং তার চাইতেও বড় তেল সেবা খাত নিয়ে দ্বীপটি হয়ে উঠেছে অর্থনীতির একটি অন্যতম কেন্দ্র। এটাকে চায়নার বিশেষ অর্থনৈতিক জোনের সমতুল্য ভাবা হয়, যেখানে ইন্দেনেশিয়ার নতুন নতুন অর্থনৈতিক নীতি ও ধারণা বাস্তবায়নের আগে পরখ করে দেখেন জাতীয় পরিকল্পনাবিদরা।  ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুরের ত্রিভুজ সমৃদ্ধি চক্রের উৎপাদনের ভিত হিসেবেও ধরা হয় বাটামকে।   দ্বীপজুড়ে প্রশস্ত সড়ক, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ছয়টি ফেরি টার্মিনাল, গুচ্ছ শিল্পাঞ্চল, হাউজিং প্রকল্প, অসংখ্য হোটেল-রিসোর্ট-শপিংমল মিলিয়ে বিশ বছরের লাগাতার উন্নয়নে এখানে ব্যবসা মিতালী গড়েছে বিনোদনের সাথে।

৬৫ হাজার রূপিতে টেক্সি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম শহর ঘুরতে। একেবারে নিরিবিলি। কর্মব্যস্ত সিঙ্গাপুর শহর থেকে বিপরীত, সৌম্য আবহ।  চারিদিকে সবুজের ছড়াছড়ি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।  হর্নবিহীন শহরের প্রশস্ত রাস্তাগুলোতে মোটরসাইকেলই বেশি দেখা মেলে।  বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডের সদ্য মডেলের গাড়িও নেহাত কম নয়।

শুরতেই বাটাম সেন্টার এলাকা, যেখানে আছে স্থানীয় সরকার দপ্তরসহ গুরুত্বপূর্ণ অফিস, আদালত। দেখে ভালো লাগলো এখানকার পাটরি বিনোদন পার্ক আর রায়া মসজিদ। বিশাল পার্কটিতেই হয় বাটামের বড় ইভেন্টগুলো। পার্কের বামদিকে মসজিদ স্থাপত্যেশৈলীর অডিটোরিয়ামটিতে ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক কোরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতা হয়েছিল। আর ডানে বাটামের প্রধান মসজিদ রায়া। ইন্দোনেশিয়ার খ্যাতনামা স্থপতি আহমেদ নোমানের নকশায় মসজিদটি বানানো হয় ২০০১ সালে। ভিতরে সাড়ে তিন হাজার আর বাইরের এলাকা মিলিয়ে একসাথে ১৫ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন। পিরামিড আদলের অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীর গম্বুজই মসজিদটিকে বিখ্যাত করেছে।  এছাড়াও বাটামে জাব্যাল আরাফাসহ দেখার মতো আরও কয়েকটি মসজিদ আছে।

এক ফাঁকে টেক্সি থামিয়ে সড়কপাড়ের হোটেলে সারলাম দুপুরের খাওয়া। বাটামের জনপ্রিয় সামুদ্রিক মাছের সাথে ভাত।  অসাধারণ স্বাদ। মাত্র ৩০ হাজার রূপি!

কেনাকাটার স্বর্গরাজ্য বাটামজুড়ে শপিংমলের ছড়াছড়ি।  হাইপারমাটেল ও মাতাহারির মতো সুপারমার্কেটও আছে অনেক। গিয়েছিলাম নাগোয়া সুপারব্লকে। বাটামের এই শপিং রাজ্যে আছে দু’শর মতো বড় আর পাঁচশ’র মতো ছোট খুপড়ি দোকান। পাহাড়ের উপর বাটামের সবচেয়ে বড় বিপণিবিতান ‘নাগোয়া হিল মল’। ব্র্যান্ড শপের ছড়াছড়ি।

ইলেট্রনিক্স পণ্য, পোশাক, প্রসাধনী সবকিছুই অনেক সস্তা। মান কি সিঙ্গাপুরের মতো সেরা? সিঙ্গাপুরপ্রবাসী বেসরকারি কোম্পানির উঁচুপদের কর্মকর্তা মিজবাহ আহমেদ বলেন, ‘দুইবার বেড়াতে গিয়ে প্রচুর কেনাকাটা করেছি। কিন্তু মান নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারিনি, বিশেষ করে পোশাকে। ’

ভিন্নমত ফেরি টার্মিনাল লাগোয়া মেগামল শপিং সেন্টারে দেখা হওয়া বাংলাদেশি আহমেদ মিয়ার। তার ভাষ্য, ‘সিঙ্গাপুরে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া, আমাদের সাধ্যের বাইরে। বাটামের পণ্য সিঙ্গাপুরের মতো বিশ্বসেরা না হলেও খারাপ না, তবে কাপড় বাংলাদেশেরই ভালো। ’

দুতা এবং টুয়াপ্যাং কং বৌদ্ধবিহার, সেন্ট পিটার ক্যাথলিক চার্চের মতো প্রসিদ্ধ ও দৃস্টিনন্দন স্থাপনা ছাড়াও বাটামে দেখার মতো আরও অনেককিছুই আছে। সমুদ্র সৈকতগুলোতে আছে জলক্রীড়ার নানা আয়োজন। মনোরম পর্যটন এলাকা নাগোয়াতেই বড় বড় হোটেল, নাইটক্লাব, পাব, ম্যাসেজ পারলার এবং আবাসিক এলাকাগুলোর রয়েছে। তাই পর্যটকদের ভিড় এখানে বেশি। একসময় ক্যাসিনো ও নৈশ বিনোদনের ব্যবস্থা থাকলেও সম্প্রতি প্রদেশের নতুন গর্ভনর সব বন্ধ করে দিয়েছেন।

সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় দেখা হল না ছয়টি বড় সেতুযুক্ত দৃষ্টিনন্দন বেয়ারল্যাঙ ব্রিজটি। সৈকত আর সবুজের মাঝে ঝুলন্ত সেতুর সৌন্দর্য আর সূর্যাস্ত দেখার আনন্দটাই অন্যরকম, জানান সিঙ্গাপুরি আইটি প্রতিষ্ঠানের বড়কর্তা মনোয়ার হোসেন অসীম। বন্ধু-পরিবারসহ বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। বাটামের সৌন্দর্য আর নিরিবিলি পরিবেশ তাদের বেশি মুগ্ধ করেছে। ভিসা লাগে না বলে প্রকৃতির মাঝে ছুটি কাটানোর এমন মোক্ষম জায়গা সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও কেউ হাতছাড়া করছে না, জানালেন তিনি।

একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্ত মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরত্বের বাটাম একদিনেই ঘুরে দেখা যায়। তবে বেড়ানোর আনন্দ আর শপিং পুরোপুরি উপভোগ করতে এক-দুই রাত থাকার পরামর্শ সিঙ্গাপুরপ্রবাসী মিজবাহ আহমেদের।

রাত ৭টার ফিরতি ফেরি ধরলাম। টার্মিনালে দেখা হল আরেক বাংলাদেশি পরিবারের সঙ্গে। আলাপে ব্যাংক কর্মকর্তাটি জানালেন, চিকিৎসার জন্য ২০ দিন সিঙ্গাপুরে আছেন। সময় পেয়ে বেড়িয়ে গেলেন বাটামে।

সময়মতো পৌছালাম সিঙ্গাপুরে। পাসপোর্টে দ্বিতীয়বার পড়ল এন্ট্রি সিল।

দরকারি তথ্য

ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুর সেখান থেকে ফেরিতে বাটাম, সবচেয়ে সহজ ও সাশ্র্রয়ী। এজন্য অবশ্যই সিঙ্গাপুরের ডাবল এন্ট্রি ভিসা থাকতে হবে। দু’দেশের ইমিগ্রেশনের সময় বাংলাদেশ ফেরার বিমান টিকেট, হোটেল বুকিং স্লিপ, পর্যাপ্ত ডলারসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র সাথে রাখতে হবে।

ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা রুটে বাংলাদেশ বিমান, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ও টাইগার এয়ারের নিয়মিত ফ্লাইট আছে। এর মধ্যে বিমানটিকেট, হোটেল, টান্সফারসহ রিজেন্ট এয়ারওয়েজের সাশ্রয়ী প্যাকেজ আছে সিঙ্গাপুরের জন্য। বাটামে হোটেল-রিসোর্টের ছড়াছড়ি। দাম সিঙ্গাপুরের অর্ধেক। অনলাইনে কিংবা সিঙ্গাপুরে গিয়ে বুকিংও করা যায়। কিংবা নিতে পারেন সিঙ্গাপুরের ট্যুর এজেন্সিগুলোর বাটাম প্যাকেজ।

লেখক: জেষ্ঠ্য সাংবাদিক।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।