ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

আকাশে লং ড্রাইভ!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৭
আকাশে লং ড্রাইভ! আকাশে লং ড্রাইভ

লং ড্রাইভ তো হয় সড়কপথে।  কিন্তু আকাশপথে ? আকাশে ভেসে ভেসে অনেক দূরের দেশে গিয়ে না থেকে আবার কী ফিরে আসা যায়? প্রশ্নটা একটু ভাবনায় ফেলতে পারে। এভাবে কি কেউ ভেবেছেন?  হতেও তো পারে! আর ভাবনা নয়, খোলাসা হোক সবকিছু।

হ্যাঁ সম্ভব। কদিন আগেই তো আকাশপথেই লং ড্রাইভের স্বাদ নিলাম।

ঢাকা-কাঠমান্ডু-ঢাকা। বোয়িং ৭৩৭। যাওয়া-আসা ৭৩৬ নটিক্যাল মাইল। আকাশে আড়াই ঘণ্টা, যাত্রাবিরতি মিলিয়ে প্রায় ৪ ঘণ্টার ভ্রমণ। আকাশের সঙ্গে মিতালী। মেঘের ছোটাছুটি। বিরতিতে রাজকীয় অভ্যর্থনা। সবমিলিয়ে অন্য রকম ভ্রমণ। রোমাঞ্চকরও বটে।

সুযোগটা হয় গত ২১ ডিসেম্বর, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাঠমান্ডুর উদ্বোধনী ফ্লাইটে। এদিন হিমালয়কন্যা নেপালে ডানা মেলে দেশের বেসরকারি বিমান সংস্থাটি। আমার সঙ্গী আরও আট সংবাদকর্মী। অতিথি হয়ে সবারই এমন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা হলো।

কমবেশি সবারই আকাশপথে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আছে। বহুবার দেখা আছে অন্যদেশ। তাই উদ্বোধনী ফ্লাইটে কাঠমান্ডু থেকে ঘুরে আসার প্রস্তাবটা নিয়ে দ্বিধা ছিল সবার। একই ফ্লাইটে কাঠমান্ডু গিয়ে আবার ফিরে আসা, অহেতুক পরিশ্রম। কিন্তু চিন্তায় যখন এল, হতে পারে ব্যতিক্রমী, অনায়াসে আকাশে লং ড্রাইভ। রাজি হয়ে গেলেন সবাই।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনালে দুপুর সোয়া দুইটায় শেষ হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ফ্লাইট ছাড়বে তিনটায়। রিজেন্টের এজিএম কাজী আহমেদ উল্লাহর সঙ্গে ছুটলাম ফ্লাইট ধরতে। পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন সিল পড়তে দেরি হয়নি। বোর্ডিং ব্রিজের মুখে এয়ারপোর্ট সার্ভিসের ডিজিএম জাফর উজ জামান জানালেন, সব যাত্রী উঠে গেছে, বাকি শুধু আমরা। সোজা উঠলাম প্লেনে, নতুন প্রজন্মের বোয়িং ৭৩৭।
আকাশে লং ড্রাইভ

আসন হলো বিজনেস ক্লাসে। ১২ আসনের নয়টিই আমাদের দখলে। বাকি আসনে রিজেন্টের তিন কর্মকর্তা। ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউকেশন সমন্বয়ক এজাজ খাজা থেকে জানলাম, ফ্লাইট পূর্ণ। ১২৬ জন যাত্রী। উদ্বোধনেই বাজিমাত!

উড্ডয়নের কিছু আগে প্লেনে আসেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি চৌধুরী এবং রিজেন্ট এয়ারওয়েজের সিইও লে. জেনারেল (অব.) এম. ফজলে আকবর। রীতি অনুযায়ী দুজনে শুভেচ্ছা জানান উদ্বোধনী ফ্লাইটের যাত্রীদের। সিইও হাসিমুখে আমাদের বললেন, ‘এবার আকাশ থেকে ঘুরে আসুন। পরে হবে হলিডেজ’। সমকালের আলতাব হোসেন বলে উঠলেন, ‘লং ড্রাইভের সঙ্গে ভবিষ্যতের নেপাল ভ্রমণের ওয়ার্মআপও হয়ে যাচ্ছে। ’ হেসে উঠলাম সবাই।     

সময় ধরে তিনটায় প্লেন আকাশে উড়ে। আমার পাশের আসনে রিজেন্টের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন রফিকুর রহমান। আগে থেকেই জানাশোনা। দক্ষ বৈমানিক ছাড়াও বিমান পরিচালন প্রশিক্ষক হিসেবে বেশ নাম যশ আছে তার। ৪৫ বছরের আকাশ জীবনের ইতি টেনেছেন গত মে মাসে। সাড়ে ১৩ হাজার ঘণ্টা বিমান উড়িয়েছেন। এখন সামলাচ্ছেন রিজেন্টের ফ্লাইট অপারেশন। তার একমাত্র ছেলেও বৈমানিক।

আলাপে জানতে চাইলাম বিমান চালানোর খুঁটিনাটি। কথার ফাঁকে পেলাম এক মজার তথ্য। তার ছেলে ক্যাপ্টেন আজিজ আব্বাসী রফিকই আজ আমাদের নিয়ে আকাশে উড়েছেন। এই ফ্লাইটের প্রধান পাইলট। বৈমানিক বাবা-ছেলে একই ফ্লাইটে। আকাশপথে লং ড্রাইভটা তো স্মরণীয় হয়ে গেল দেখি। আকাশে লং ড্রাইভ

নতুন রুট বলে ছেলেকে সাহস দিতেই কি সফরসঙ্গী হলেন? তিনি বললেন, ‘না তা নয়, উদ্বোধনী ফ্লাইটে অপারেশন প্রধানের থাকার নিয়ম আছে। আর ছেলেতো অনেক আগেই আমাকে ছাড়িয়েছে। পাইলট হয়েছিল মাত্র ২২ বছর বয়সে। এর মধ্যেই তার ফ্লাইয়িং আওয়ার সাড়ে ১২ হাজার ঘণ্টা। ইনশাল্লাহ অনেক দূর যাবে। ’

ছেলের কথা বলে বুকভরা গর্ব নিয়ে ক্যাপ্টেন রফিক চলে গেলেন ককপিটে। পাশে এসে বসলেন প্রথম আলোর সুজয় মহাজন। এরই মধ্যে কেবিন ক্রুরা ব্যস্ত আমাদের সেবায়। আরেফীন দিয়ে গেলেন পত্রিকা। কিছুপরেই ট্রে ভরা খাবার নিয়ে হাজির জেমী। ক্ষুধায় পেট তখন চোঁ চোঁ। গোগ্রাসে নিজেরটা শেষ করে হাত বাড়ালাম সুজয়ের বাদামের পেয়ালায়। তা দেখে কেবিন ক্রু ইনচার্জ পারশার ঈশনা দ্রুত আরেক পেয়ালা বাদাম নিয়ে এসে মোহনীয় হাসি দিয়ে জানতে চাইল, ‘স্যার আর কিছু লাগবে’। হাসিমুখে বললাম, ‘নো থ্যাংকস’।

খাওয়া শেষ হতেই মগ ভরা ধূমায়িত কফি মুখে নিয়ে তাকালাম জানালার বাইরে। নীল অপরূপ আকাশ। নিচে মেঘসমুদ্র। এদিক থেকে ওদিক যাচ্ছে স্বচ্ছ সাদা মেঘের ভেলা। সহযাত্রী রিজেন্টের অতিথি আলোকচিত্রী মাজেদ চৌধুরী আমাদের কয়েকজনের চেনাজানা। ভালো ছবি তুলেন, পুরস্কারও আছে ঝুলিতে। তাকে ধরে সবাই তুলে নিলেন প্রোফাইল, সাথে গ্রপ ছবিও। উদ্বোধনী ফ্লাইট বলে নিয়মনীতি কিছুটা শিথিলই মনে হল। ইনফ্লাইট ছবি তোলা একেবারেই বারণ কিন্তু।

স্পিকারে ভেসে এল ক্যাপ্টেনের কণ্ঠস্বর, ‘আমরা এখন ৩৩ হাজার ফুট উপর দিয়ে চলছি। এই মাত্র দিনাজপুর দিয়ে ভারতের আকাশ সীমানায় ঢুকেছি। ডানদিকে তাকালে দেখতে পারবেন হিমালয়ের কাঞ্চনজঙ্খা চূড়া, এরপরই অন্নপূর্ণা, তারপর সর্বোচ্চ চূড়া এভারেস্ট। একসাথে সবার দৃস্টি গেল সেদিকে। উপভোগ করতে লাগলাম বরফে ঢাকা হিমালয়। দার্জিলিংয়ের টাইগার হিলে উঠে কাছ থেকে কাঞ্চনজঙ্খা, নেপালের পোখরার শরণকোটে অন্নপূর্ণা আর নাগরকোট থেকে এভারেস্ট চূড়া দেখেছি অনেকবার। তারপরও স্রষ্টার অকৃপণ হাতে গড়া এই সৌন্দর্য দেখার যেন শেষ নেই। আকাশে লং ড্রাইভ

এরই ফাঁকে হয়ে গেল র‌্যাফেল ড্র। উদ্বোধনী ফ্লাইট হিসেবে যাত্রীদের জন্য আনন্দ আয়োজন। কুপন তুলল এক শিশুযাত্রী। ভাগ্যবান পেলেন ঢাকা-কাঠমান্ডু-ঢাকা ফ্রি টিকেট। করতালিতে অভিনন্দন জানাল সবাই। মনে হলো আকাশে নয়, কোনো উৎসবে আছি আমরা। প্রত্যেক যাত্রীকে আকর্ষণীয় গিফট হ্যাম্পারও দেওয়া হয়েছে। বঞ্চিত হলাম আমরা। ‘যাত্রী হলেই মনে হয় ভালো হত’- দীর্ঘশ্বাস আমার।

বিমানের গতি কিছুটা ধীর হল, মনে হল নিচে নামছে। আবছা দেখা গেল পাহাড়ঘেরা ছোট ছোট ঘরবাড়ি, শহর। বোঝা গেল চলে এসেছি কাঠমান্ডু। কিন্তু তখনই ক্যাপ্টেনের ঘোষণা, ‘বিমানবন্দরে ট্রাফিক এর জন্য ২৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। ’  ‘ট্রাফিক’ মানে কিউতে আছে আরও উড়োজাহাজ। আকাশ তো রানওয়ে না যে বিমান দাঁড়িয়ে থাকবে। তাই পাইলট ঘুরপাক দিতে লাগলেন। চারদিকে মেঘ আর মেঘ। অপেক্ষা শেষে কাঠমান্ডু ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করে রিজেন্টের প্রথম ফ্লাইট। স্থানীয় সময় তখন বিকেল ৪টা ৪০ মিনিট।

ছোটখাটো বিমানবন্দর। বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ বলেও বদনাম আছে। রানওয়ে থেকে চোখে পড়ল টেক্সিওয়ের দুপাশে দাঁড়ানো ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি। কিছুটা ভড়কে গেলাম। জরুরি অবতরণ করল নাকি? আকাশে অপেক্ষা করতে গিয়ে কি কোনো বিপত্তি ঘটল, নাকি প্রথমবার এ বন্দরে অবতরণ করছে বলে আগাম প্রস্তুতি। এতসব প্রশ্ন যখন মনে উঁকি দিচ্ছিল তখনই জানালায় পানির ঝাপটা পড়তেই উত্তর পেয়ে গেলাম। আরে এতো ‘ওয়াটার ক্যানন স্যালুট’। নতুন ফ্লাইট প্রথম অবতরণের সময় এইভাবে অভ্যর্থনা জানানোর রীতি। ফায়ার সার্ভিসের জল কামান দিয়ে এটি করা হয়। জানতাম, দেখেছিলামও একবার ঢাকায়। এইবার সরাসরি উপভোগ। অভিভূত হলেন সহযাত্রীরাও। উচ্ছাসটা বেশি দেখলাম যুগান্তরের হামিদ উজ জামানের। তবে বাইরে থেকে এ দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে না পারায় আফসোসের শেষ নেই বৈশাখী টেলিভিশনের সেলিম হোসেনের। আকাশে লং ড্রাইভ

একঘণ্টা বিরতি। কাটাবো টার্মিনালে। সিঁড়ি দিয়ে বে’তে (বিমান পার্কিং এলাকা) পা রাখতেই অবাক হবার পালা। সামনে দাঁড়িয়ে আছেন নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত স্বয়ং। আমাদের স্বাগত জানালেন রাষ্ট্রদূত মাসফি বিনতে সামস। সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের বড় দুই কর্তা আর রিজেন্টের নেপালের কর্মকর্তারা। এসময় হলুদ রঙের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় আমাদের। সাধারণ যাত্রীদেরও উত্তরীয় দিয়ে বরণ করা হয়।

এরপর শুরু হলো অনির্ধারিত ফটোসেশন, সেলফি তোলার হিড়িক। নিরাপত্তা কর্মীদের অনুরোধ উপেক্ষা করে চলে স্মৃতি সংরক্ষণের ডিজিটাল প্রক্রিয়া। কো-পাইলট ক্যাপ্টেন আকবরকে নিয়ে ক্যাপ্টেন আজিজও ককপিট ছেড়ে যোগ দেন আমাদের সঙ্গে। এক ফাঁকে ক্যাপ্টেন আজিজের কাছে পিতার অনুভূতি শেয়ার করলে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। বললেন, ‘বাবাই আমার আদর্শ। তাকে দেখেই আকাশে উড়েছি। আমার বড় সৌভাগ্য বাবাকেই প্রশিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলাম ফ্লাইয়িং ক্লাবে। ’

গেলাম ভিভিআইপি লাউঞ্জে, নেপাল অংশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। কেক কেটে সূচনা করেন বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মাসফি বিনতে সামস। ২৫ মিনিটই অনুষ্ঠান শেষ। নেপালের একদল সংবাদকর্মীও ছিলেন।

এবার ফেরার পালা। কিন্তু দলছুট হলেন দুজন। ডেইলি স্টারের প্রবীর বড়ুয়া চৌধুরী ও কালের কণ্ঠের আরিফুর রহমান। হিমালয়কন্যার দুয়ার থেকে ফিরতে রাজি নয়। প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল। ব্যবস্থা করা হল তিনদিন পর রিজেন্টে ফেরার। পোর্ট এন্ট্রি ভিসা। দুজন ঢুকে পড়লেন ইমিগ্রেশনে। আমার পা বাড়ালাম বিমানের দিকে।
আকাশে লং ড্রাইভ
সূর্য তখন ডুবেছে মাত্র। ৬৫ জন যাত্রী নিয়ে ফিরতি ফ্লাইট যাত্রা করল ঢাকার দিকে। বেশিরভাগ যাত্রীই মালয়েশিয়ায় প্রবাসী নেপালী। ঢাকায় ট্রানজিট হয়ে রিজেন্টেই যাবে কুয়ালালামপুর।

আবারও র‌্যাফেল ড্র। এবার মজার বিপত্তি হল। কুপন তোলার জন্য শিশু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত কেবিন ক্রু ফখরুল খুঁজে পেলেন একজনকে। শিশু নয় কিশোরী! আমাদের সহযাত্রী বাংলানিউজ২৪.কম-এর উর্মি মাহবুব। গড়নে কিশোরীর মতো বলেই কি বেছে নেয়া হল তাকে? ফখরুলের মুচকি হাসিতে সায় পাওয়া যায়। উর্মি মহাআনন্দে ছুটে গেল ইকোনমি কেবিনে। পেছনে আমরা কয়েকজনও। কুপন তুললেন উর্মি। ভাগ্যবান নেপালী যুবক বিনোদ। শ্রমিক হিসেবে তিন বছরের জন্য যাচ্ছেন মালয়েশিয়া। কাঠমান্ডু-ঢাকা-কাঠমান্ডু ফ্রি টিকিট পেয়ে বিস্মিত! বুকে জড়িয়ে তাকে অভিনন্দন জানালেন রিজেন্টের আইটি ম্যানেজার আবদুল্লাহ চৌধুরী।

বাইরে অন্ধকার প্রকৃতি। আর ভেতরে আনন্দে ব্যস্ত সবাই। শুধু বিডিনিউজের গোলাম মুজতবা ধ্রুবকে দেখলাম একটু আনমনা। ক্লান্তি নাকি দুঃচিন্তা। জানতে চাইলে বললেন, ‘ঘরে সাত মাসের মেয়ে। প্রথম সন্তান। মুখটা ভেসে উঠছে বারবার। বড্ড মিস করছি। কখন যে বাসায় ফিরব’।

কিছু বলার আগেই স্পীকারে কেবিন ক্রুর মিষ্টি কণ্ঠ ‘অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করছি। স্থানীয় সময় এখন ৬টা বেজে ৪৫ মিনিট...। ’

লেখক: জেষ্ঠ্য সাংবাদিক।
ছবি: মাজেদ চৌধুরী

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।