হোটেল ছেড়ে রাস্তায় যেতেই জেঁকে ধরলো শীত। সকালের ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে স্নান করছে রাজধানী কাঠমান্ডু।
হোটেলের সিকিউরিটি গার্ড বিক্রম জানালেন, গতকাল থেকেই কাঠমান্ডুতে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। শীতও কয়েকদিনের তুলনায় বেড়েছে। আজকের তাপমাত্রা ১০/১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।
কাঠমান্ডু পাহাড় বেষ্টিত উপত্যকা শহর, তাই শীতের তীব্রতাও বেশি। শহরজুড়ে দালান-কোঠা, রেস্তোরাঁ ও দোকানপাটের নির্মাণ শৈলীতে মধ্যযুগের স্থাপত্যকলার ছোঁয়া। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি মাথায় নিয়েই শো-পিস, অলঙ্কার ও শীতের কাপড়ের দোকানগুলো খুলছেন দোকানিরা। বেলা তখন সময় সকাল সাড়ে ৭টা। বাংলাদেশে এই সময়ে দোকান খোলা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। নেপালে আসা পযর্টকের সুবিধার জন্য ব্যবসায়ীরা সকাল সকাল দোকান খুলে বসে পড়ছেন।
কাঠমান্ডু শহরে সকালের রাস্তায় মোটরবাইক আর স্কুটারের আধিপত্য দেখা গেল। নারী-পুরুষ সমান তালে বাইক-স্কুটার চালিয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশে যাচ্ছেন। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় মোটরসাইকেলের ব্যবহার একটু বেশিই।
গন্তব্য পোখড়া। সাড়ে আটটায় কাঠমান্ডু ছেড়ে যেতে গাড়িতে উঠলাম। কাঠমান্ডুর ভাঙাচোরা সড়ক পার হয়ে লোকালয় ছাড়তেই উঁচু-নিচু, আঁকাবাঁকা পাহাড় বেষ্টিত পথ। তখনও কুয়াশার চাদরে মোড়ানো পাহাড়গুলো।
আঁকাবাঁকা পথের ধারে সবুজ গাছপালায় ঘেরা পাহাড়গুলো যাত্রা পথে চোখ-মনে প্রাশান্তির আবেশ আনে। মেঘলা আকাশের বুক চিরে পাহাড়ের কোলঘেঁষে কখনও গোমড়ামুখো সূর্যের উঁকি কখনও হাস্যোজ্জ্বল সূর্যের লুকোচুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৭
এমসি/এমজেএফ