পর্বতপ্রেমী যারা নেপালে আসেন তাদের মূল উদ্দেশ্য হিমালয় দর্শন। পাশাপাশি অন্যান্য দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা।
পর্যটকদের অবস্থানের কারণে পোখারার জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরে ফেওয়া লেকের আশপাশে গড়ে উঠেছে বিশাল পর্যটন এলাকা লেকসাইড। সুদৃশ্য স্থাপনা, অত্যাধুনিক হোটেল, মার্কেট, রেস্টুরেন্ট, পর্যটকদের নজর কেড়েছে। ফলে বছর জুড়েই পর্যটকদের গিজগিজানি এখানে।
এখানকার ইতিবাচক দিক হলো এলাকার সবাই পর্যটকবান্ধব। খুব সহজেই হাত বাড়িয়ে দেন সহযোগিতার। হোটেল, মার্কেট, রেস্টুরেন্ট সবখানেই পর্যটকদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেন স্থানীয়রা। লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো গাড়ির চালক থেকে শুরু করে রেস্টুরেন্টের বয় সবাই ভাল ইংরেজি বোঝেন এবং বলতে পারেন।
লেকসাইড এলাকার মানুষ যে পর্যটকবান্ধব তা টের পেলাম হোটেল হোয়াইট পিয়ারেলে উঠেই। শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায় বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে আমরা যখন হোটেলে পোঁছলাম তখনও বৃষ্টি। গাড়ি থেকে নামতেই অভ্যার্থনা জানালো সংকর টেন্ডল। ওয়েলকাম ড্রিংক পান করে হোটেল সম্পর্কে জানতে চাইলেন বাংলানিউজের চট্টগ্রাম ব্যুরো এডিটর শ্রদ্ধেয় তপন চক্রবর্তী। চমকে উঠার মতো উত্তর দিলেন হোটেলের এই অংশীদার। তিনি বললেন দাদা মনে করবেন এটা আপনার বাড়ি। কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানাবেন। অবশ্য হোটেলে অবস্থানকালীন আমাদের কোন সমস্যা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, ১২ মার্চ, ২০১৭
এমইউ/টিসি