শুধু তরুণ-তরুণীরাই নন, শিশু থেকে বুড়ো পর্যন্ত সবাই নিজেদের হোলির রঙে রাঙিয়ে তুলেছেন। এ উৎসব থেকে বাদ যাননি ভিনদেশিরাও।
১২ মার্চ (রোববার) সকাল থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে হোলি উৎসবের এমন চিত্র।
কাঠমান্ডুর সড়কজুড়ে লোকে লোকারণ্য। এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল-কলেজে হোলি উৎসব উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে কনসার্টের। এতে গায়ে, মুখে বাহারি রঙ মেখে উৎসুক শ্রোতারা গানের তালে তালে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছেন।
মহাপাল এলাকার সড়ক দিয়ে যেতেই তরুণ-তরুণীরা হাতে বাহারি রঙ নিয়ে একজন অন্যজনকে 'হ্যাপি হোলি'র শুভেচ্ছা জানিয়ে রঙ মাখামাখি করেছে।
এর কিছুদূর যেতেই চোখে পড়লো পাঠান দরবার। যেখানে হাজারো লোকের আনাগোনায় লোকারণ্য। বিশেষ করে এখানে প্রাচীন কৃষ্ণ মন্দির দর্শনে প্রায়শই ভিড় থাকে।
নেপালিদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকরাও পিছিয়ে নেই এ উৎসবে। সবার চোখ-মুখ উৎসবে রঙিন।
স্থানীয় রাজেশ রায় বাংলানিউজকে বলেন, সারাবছর এ হোলি উৎসবের জন্য অপেক্ষায় থাকি। পুরো পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে হোলি উৎসবে রঙ নিয়ে মাখামাখি করি। ভুলে যাই সব ভেদাভেদ, দুঃখ, ক্লান্তি। তাই পুরো এলাকাটি ঘুরে ঐতিহ্যবাহী এ পাঠান দরবারে এসেছি।
মুন নামে ডেনমার্ক থেকে আসা এক তরুণী বাংলানিউজকে জানান, নেপালে হলি উৎসবে মজা করতে এসেছি। তাই এ দিনের জন্য সাদা টি-শার্টসহ রঙ কিনে নিয়েছি। সবার মুখে রঙ মেখে দিচ্ছি।
কালস নামে ইংল্যান্ড থেকে আসা এক পর্যটক বাংলানিউজকে বলেন, নেপাল আমার খুব প্রিয় দেশ। হিমালয় ও হোলি উৎসব দেখতে আমি এখানে প্রায় সময় আসি। এবার ইংল্যান্ড থেকে হলি উৎসবকে টার্গেট করে ১০ জনের একটি গ্রুপ এসেছি। অনেক মজা করেছি।
কথা শেষে কালস বলে উঠলো 'হ্যাপি হোলি'।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৭
এসএনএস