সেই ধর্মতলায় খাবারের দোকানগুলোতে ৮০ শতাংশই নাকি বাংলাদেশি। এমনটিই জানিয়েছেন স্থানীয় দোকানিরা।
ধর্মতলার দোসা বাগানের বিক্রয় কর্মী হরি সাহা বাংলানিউজকে বলছিলেন, ‘শুধু এখানটা কেন, মোটামুটি আশেপাশের সব রাস্তায় থাকা খাবারের দোকানে সব সময় বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিড় থাকে। কেউ আসেন চিকিৎসার জন্য, কেউ আসেন ঘুরতে, কেউবা আসেন ব্যবসায়ের কাজে। তাদের বেশিরভাগই এ জায়গার আশেপাশেই হোটেল ও গেস্ট হাউজগুলোতে থাকেন। তার ওপর নিউমার্কেট তো আছেই। আমাদের দিনের ৮০ ভাগ ক্রেতাই থাকেন বাংলাদেশি। ধর্মতলায় রাস্তার খাবার দোকানগুলোতে মুমু খেতে খরচ পড়ে ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা। ৫০ টাকা দিয়েই খাওয়া যায় বাটার দোসা। সঙ্গে থাকে দুই রকমের চাটনি। কেউ যদি খেতে চান চমিন, খরচ পড়বে ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা। ৩৫ টাকায় সহজেই খাওয়া যায় ভেজিটেবল ফ্রাইড রাইস। চিকেন ফ্রাইড রাইস খেতে খরচ পড়বে ৫০ টাকা।
খাওয়ার পরে যদি খেতে চান ডেজার্ট, তাহলে খরচ পড়বে ১০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা। আইসক্রিম এর দাম পড়বে ১০ টাকা। ৩০ টাকা খরচ করলেই খাওয়া যাবে কুলফি।
হোটেলগুলোতে খাবারের দাম বেশি হওয়ায় কিছুটা সাশ্রয়ের জন্য এসব খাবার দোকানে আসেন কলকাতায় আসা বাংলাদেশি পর্যটকরা।
পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজার থেকে ব্যবসায়ের কাজে সম্প্রতি কলকাতায় এসেছেন রতন বনিক। ধর্মধলায়ই দেখা তার সঙ্গে। রতন বলেন, এসব জায়গায় খেতে এলে ৫০ রূপি থেকে ৬০ রূপিতে পেট পুরে খাওয়া যায়। তাই এখানেই খেতে এলাম। আমি ব্যবসায়ের কাজে প্রায়ই আসি, এখানেই বেশি খাওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৭
ইউএম/এইচএ/