শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টায় রওনা দিয়ে দুপুর ২টায় চায়না সাউদার্নের ডমেস্টিক ফ্লাইটে চীনের বাণিজ্যিক রাজধানীতে অবতরণ। ব্যস্ততা এতো বেশি তবু নিঃশব্দ চারপাশ।
এই গতির-ই তো হতে চায় বাংলাদেশ। যার উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রীও (শেখ হাসিনা) বলেছেন, সাংহাইয়ের আদলে পদ্মাপাড় গড়ার কথা।
দেখা যাচ্ছে, হাঁটাচলা, যান্ত্রিক ব্যবহার বা ট্রেন, গাড়ি যা কিছু আছে সবই গতির দৌড়ে। গতির প্রতিযোগিতা চলছে প্রতিমুহূর্তে। ধরুন বিমানবন্দরে ব্যাগেজ পাওয়ার কথা। অনেকটা দৌড়ের মতো হেঁটে লাগেজ বেল্টের কাছে দাঁড়িয়ে গেছি। মুহূর্তেই হাজির লাগেজ।
তারপর এগিয়ে যাওয়া ট্রেন স্টেশনের দিকে। স্টেশনটি বিমানবন্দর লাগোয়া। তিন চার মিনিট হেঁটে চলন্ত সিঁড়ি ধরে আবারও গতির কাছে পৌঁছে যাওয়া।
গতির নাম বুলেট ট্রেন। গতির জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাত এ ট্রেন চলে চুম্বক শক্তিতে। সাংহাই ম্যাগলেভ লাইন নামে পরিচিত এটি। গতি দিয়ে শহর সম্পর্কে ধারণা মিলবে সহজে। দ্রুতগতির রেল, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সবই এখানে দ্রুত থেকে দ্রুততর।
কী নেই এখানে? এই শহরেই চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর পোডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। উন্নত জাহাজ বন্দর। আর সাংহাই এয়ারপোর্ট থেকে বেইজিং, গুয়াংজু, কুনমিং, সিনজিং যুক্ত উচ্চগতির রেলপথ ও এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে।
এবার বুলেট ট্রেনের সামনে। এই ট্রেন স্টেশনে কয়েক হাজার মানুষ, কিন্তু শ্বাস ফেলার শব্দও শোনা যাচ্ছে না, এতো নিরবতা। গতির তাড়া এখানের মানুষের গল্প করার সময় কেড়ে নিয়েছে।
প্লাটফর্মে দাঁড়ানোর কয়েক মিনিটের মধ্যে বুলেট ট্রেন হাজির। এটি অবশ্য ততটা গতির নয়। তবু ২০০ কিলোমিটার এক ঘণ্টায় ভাসিয়ে নিয়ে এলো। পাশ দিয়ে আরও যে ট্রেন যাচ্ছিলো সেগুলোর গতি ৪০০ কিলোমিটারের বেশি।
দক্ষিণ চীন ছাড়িয়ে এবার উত্তর চীনের দিকে। শীতের মাত্রা বাড়ছে। শীতল আবহাওয়া অনুভূত হলো ট্রেন থেকে নেমেই। আশেপাশে বরফ জমেছে। স্মার্টফোনে তাপমাত্রা মাইনাসের দিকে। এ গল্প অন্যদিন। গতিতে ভাসিয়ে সাংহাই থেকে ওয়াক্সু নিয়ে এলো ট্রেন। রাত কাটবে এখানেই। তাপমাত্রা মাইনাস চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। জমছে আরও বরফ।
ঝকঝকে গুয়াংজু বিমানবন্দরে কারও সাহায্য লাগে না
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৮
এসএ/জেডএস