পাহাড়ের চূড়ায় গ্রামীণ পরিবেশের অত্যাধুনিক ‘থানচি কুটির’ ঘিরে প্রায় সারাক্ষণই চলে মেঘের ছোটাছুটি। চারপাশে ঢেউখেলানো পাহাড়ের সারি এ কুটিরকে করে তুলেছে একেবারে নৈসর্গিক।
দ্বিতলা টিনের ঘর। চারদিকে কাঠ ও বাঁশের কারুকার্য। মোট ১৪টি রুম। ভাড়াও সাধ্যের মধ্যেই। নিচতলায় প্রতি রুম ১০০০ টাকা। থাকা যাবে দু’জন। চাইলে দুই খাটে চারজনও থাকা যাবে। আর দোতলায় জনপ্রতি ২০০ টাকায় রুম পাওয়া যাবে। থানচি কুটিরের রুমের নাম দেওয়া হয়েছে উপজেলার পর্যটন স্পটগুলোর নামেই। বড় পাথর, আন্ধারমানিক, ঙাফাক কুম, ডিম পাহাড়, রাইক্ষ্যং ঝর্ণা, তিন্দু, সাতভাই কুম, আমিয়া কুম, বেলা কুম, কুমারী ঝর্ণা, তাজিংডং, রেমাক্রি। কুটিরের চারদিকে অর্কিড, রুমের সামনে পাতাবাহার ও নানা প্রজাতির ফুল গাছ।
রয়েছে খাবারের সুব্যবস্থাও। অর্ডার দিলেই বাংলার সুস্বাদু খাবার চলে আসবে টেবিলে। সাঙ্গুনদীর বাচা, বোয়াল, শোল মাছ ও দেশী মুরগির ভূনা, ডাল, হরেক রকমের ভর্তা দিয়ে উদরপূর্তি করা যায়। দামও একেবারে সাধ্যের মধ্যেই।
ভাত, ডাল, ভর্তা ও বাচা মাছের প্যাকেজ ১২০ টাকা; ভাত, ডাল, সবজি ও ফার্মের মুরগির প্যাকেজ ১৫০ টাকা; বোয়াল মাছ, ভাত, ডাল ও সবজির প্যাকেজ ২০০ টাকা এবং দেশী মুরগি, ভাত, ডাল ও সবজির প্যাকেজ ২০০ টাকা।
থানচির রোমাঞ্চকর জনপ্রিয় ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে এই কুটির থেকেই নদী পথে যাওয়া যায়। সাঙ্গু নদীর থানচি ঘাট থেকে প্রতিদিন নৌকাযোগে শত শত পর্যটক যান পছন্দের স্পটগুলোতে।
থানচি কুটিরের ম্যানেজার বেলাল হোসেন ভূইয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এখানে ব্যবসার চেয়ে পর্যটন বিকাশের ব্যাপারটা বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। মানুষ যেন এখানে এসে দুর্ভোগে না পড়ে, যেন বেশি সময় থাকতে পারে সেটাকে প্রাধান্য দেই। থানচি কুটির নির্মাণই আসলে পর্যটক আকৃষ্ট করার জন্য। পাহাড়ি এ উপজেলাকে কেন্দ্র করে এখন আর পর্যটকদের থাকা খাওয়ার কষ্ট থাকবে না। চাইলে মোবাইল ফোনেই বুকিং দেওয়া যাবে। বুকিং দিতে কল করা যাবে ০১৮৪১-১৩১১৭৭ ও ০১৮১৩-২০২৮৫৩ (ম্যানেজার) নম্বরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮
এসএম/এইচএ/