ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৬১)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২০
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৬১)

বাবর আলী। পেশায় একজন ডাক্তার। নেশা ভ্রমণ। তবে শুধু ভ্রমণ করেন না, ভ্রমণ মানে তার কাছে সচেতনতা বৃদ্ধিও। ভালোবাসেন ট্রেকিং, মানুষের সেবা করতে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের এই ডাক্তার হেঁটে ভ্রমণ করেছেন দেশের ৬৪ জেলা। সেটা আবার ৬৪ দিনে। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? সেটা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখেছেন বাংলানিউজের ট্রাভেলার্স নোটবুকে। ৬৪ দিনে থাকবে ৬৪ দিনের ভ্রমণ-অভিজ্ঞতা।

দিন ৬১

কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি)- বান্দরবান = ৪২.৭০ কি.মি.

সকালের রাস্তাটা কুকুরছানাদের দখলে। শূন্য রাস্তা পেয়ে দিগ্বিদিক ছুটছে ওরা।

আসিফের বাসা থেকে বেরিয়ে কায়াক ক্লাবে একবার নামলাম। নাইট গার্ড সোহেল আশেপাশেই কোথাও গেছে হয়তবা। লিচুবাগান মোড়ে অপেক্ষা করছিলেন তাহমিদ ভাই। হাঁটার জন্য কাল রাতেই ঢাকা থেকে কাপ্তাইগামী বাসে চড়ে ভোরে নেমে পড়েছেন লিচুবাগান।

আজকের গন্তব্য বান্দরবানের দিকে যাবার সময় প্রথমেই পড়লো ফেরি। এই পদযাত্রার সর্বশেষ ফেরি এটাই। কর্ণফুলী নদী পারাপারের এই ফেরিটি আমার দেখা সবচেয়ে কম দূরত্ব পারাপারের ফেরি। ফেরিতে যতক্ষণ চড়া হয়, তার চেয়ে বেশি সময় যায় উঠতে আর নামতে। লিচুবাগানের অবস্থান চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলাতে হলেও ফেরির ওপারের রাইখালীর অবস্থান রাঙ্গামাটিতে। মিনিট কয়েক হাঁটলেই রিফিউজি পাড়া। এর থেকে কিছুটা দূরত্বে অবস্থিত সন্দ্বীপ পাড়া। এর অবস্থান আবার রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়।

পাহাড়ি পথের ধারের সকাল।  ছবি: বাংলানিউজ

বড়খোলা বাজার হয়ে ঢংছড়ি বিজিবি ক্যাম্প। চেকপোস্টে বসা বিজিবি সৈনিককে দেখে ভেবেছিলাম আমাদের হয়তো কিছু জিজ্ঞেস করতে চান তিনি। আবার আমরাও জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছি দেখে তিনি হয়তো ভেবেছিলেন আমরা কিছু জিজ্ঞেস করব। শেষমেষ কোনো বাক্য বিনিময় ছাড়া শুধুমাত্র চোখাচোখিতে পার হলাম চেকপোস্ট।

মতিপাড়ার চমৎকার বৌদ্ধ বিহারটা ফেলেই কারিগর পাড়া। পাহাড়ি উঁচু-নিচু পথের শুরু মূলত এখান থেকেই। পাশের পাহাড়গুলোতে অনেকগুলো ড্রাগন ফলের বাগান দৃশ্যমান। এগ্রো ফার্মগুলোর সাইনবোর্ড পড়তে পড়তে এগুচ্ছি। আর কিছুদূর এগিয়ে প্রবেশ করলাম রাজস্থলী উপজেলায়।

ক্রাউ পাড়া।

পাহাড়ি অনেকগুলো পাড়া পড়ছে পথের পাশেই। মার্মা নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যাই বেশি। বাড়িগুলোর সামনে বিশাল সব ক্যাকটাস গাছ। এত বড় ক্যাকটাস সচরাচর দেখে আমরা অভ্যস্ত নই। তাহমিদ ভাইয়ের সঙ্গে গল্পে গল্পে পথ চলছি। দুজনেরই পাহাড় পছন্দ বলে সেটাই মূল আলোচ্য বস্তু। বাঙ্গালহালিয়ার কাছে আগা পাড়া বিহারটা দেখতে বেশ। সুদৃশ্য গেটটা দেখেই মন ভরালাম। ভেতরে আর যাওয়া হলো না।

বাঙ্গালহালিয়া বাজারে প্রচণ্ড ভিড়। সাপ্তাহিক বাজারের দিন আজ। ভিড় ঠেলে সামনে এগুচ্ছি। সব ধরনের পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছে পাহাড়ি-বাঙালিরা। আমলকি থেকে শুরু করে সোয়েটার পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। ছাগলখাইয়ার কাছে এক বাইক ড্রাইভার থেমে জানতে চাইল আমাদের গন্তব্য কোথায়। বাইকে বসতে বলার পর আমরা আমাদের উদ্দেশ্য জানাতেই সে জানাল, হেঁটে বান্দরবান যেতে নাকি দুইদিন লাগবে। আমি আজ বিকালেই তাকে সাঙ্গু ব্রিজের উপর অপেক্ষা করতে বললাম।

দূর পাহাড়ের গায়ের জুমঘর।

সুখবিলাস মুক্তিযোদ্ধা পার্ক পেলাম খানিক বাদেই। এই পার্কের অবস্থান আবার রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়। ইউনিয়নের নাম পদুয়া। দশমাইল থেকে সামনে এগিয়ে শারজাহ হাসপাতাল। এরপর থেকেই সঙ্গী সুন্দর একটা ছড়া। আর এই অঞ্চলটা দুধপুকুরিয়া-ধোপাছড়ি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যর অংশ। বছর পাঁচ-ছয়েক আগে আমরা একবার পটিয়া থেকে হেঁটে এদিকে বেরিয়েছিলাম। বুনো হাতির বেশ দাপট ছিল একসময় এ অঞ্চলে। পেছনেই বেশ কিছু চড়াই-উৎরাই ফেলে এলেও এই অংশটা বেশ সমতল। নাপিত পুকুরিয়া ছাড়িয়ে ব্রিজ লাগোয়া ব্রিজঘাট। মাছ চাষের এক সারি পুকুরের শেষ প্রান্তে অভয়ারণ্যের অফিস। একটা নড়বড়ে বেইলি সেতু পার হয়েই প্রবেশ করলাম বান্দরবান জেলার সদর উপজেলায়। হাতের বামে বেশ বড় জায়গাজুড়ে পানের বরজ।

রাঙ্গুনিয়া ছাড়িয়ে বান্দরবান প্রবেশ করতেই রাস্তার সমতল অংশও শেষ হয়ে গেল। পাহাড়ি এ রাস্তার দুই ধারে ছোট ঝোপঝাড়ই বেশি। বড় গাছ নেই তেমন একটা। আজ অন্যদিনের তুলনায় রোদের তীব্রতা বেশি। রাস্তার পাশে গাছের ছায়া না থাকায় সেটা আরো তীব্রতর অনুভূত হচ্ছে। সামাজিক বনায়নের বেশ কিছু গাছ আছে রাস্তা থেকে কিছুটা দূরত্বে। আকাশমণি গাছ ছাড়াও প্রচুর সেগুন বাগান এ রাস্তায়। বছর কয়েক আগে সাইকেলে এ রাস্তা পাড়ি দিয়েছিলাম। সেসময়ের টুকটাক স্মৃতি উঁকি দিচ্ছে মনের ক্যানভাসে। রাস্তায় বৈদ্যুতিক খুঁটির কাজ করছিল বেশ ক’জন তরুণ। আজকে কোথায় থেকে রওনা দিয়েছে জেনে একজন বলে উঠল - ‘এইটুকু রাস্তা আসতে এতক্ষণ লাগল আপনাদের?’ এতদিন লোকে হেঁটে আসছি শুনে চোখ কপালে তুলত। আর এই লোক আজ তার হিসাব অনুযায়ী দেরি হবার জন্য রীতিমতো ঝাড়ি দিয়ে দিল!

দুধপুকুরিয়া-ধোপাছড়ি অভয়ারণ্যের ছড়া।

ক্রাউ পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে আজ। পাশের দোকানে চায়ে চুমুক দিতে দিতে রেজাল্ট কার্ড হাতে পুঁচকেদের ছোটাছুটি দেখছিলাম। প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় যারা হয়েছে তাদের হাতে রেজাল্ট কার্ডের পাশাপাশি শোভা পাচ্ছে একটা প্লেট আর মগ। পাহাড়ি পাড়ার ছবি ভেসে উঠলে যা মনে আসে, ক্রাউ পাড়াটা ঠিক তেমনি। পাহাড়ের ঢালে ধাপে ধাপে সাজানো ঘর আর তার পাশ ঘেঁষে কুলকুল করে বয়ে যাওয়া একটা ঝিরি। রাস্তার অবস্থা এদিকে খুব একটা সুবিধার না। রাস্তার পিচ তথা ছাল-চামড়া উঠে গেছে স্থানে স্থানে। তাহমিদ ভাইয়ের পায়ে বেশ অনেকক্ষণ ধরেই ব্যথা অনুভূত হচ্ছিল। চেমী ডলু পাড়ার কাছাকাছি উনি গাড়িতে উঠে পড়লেন। বান্দরবান গিয়ে উনি অপেক্ষা করবেন আমার জন্য। রাস্তার ধারে মরা কাশের সারি। পাহাড়ি লোকের আমাকে নিয়ে খুব একটা কৌতূহল নেই বলে পথ চলতে থামতে হচ্ছিল না খুব একটা।

এই রাস্তায় বাঁকের অভাব নেই। রাস্তার পাশ ধসে গেছে অনেক জায়গায়। জুট-জিও দিয়ে সেসব কমানোর চেষ্টাও দৃশ্যমান। পাহাড়ে আমার অন্যতম পছন্দের একটা জিনিস হলো জুমঘর। দূর পাহাড়ের গায়ে বেশ ক’টা জুমঘরের দেখা মিলল চলার পথে। রাস্তার পাশে অনেক শুকনো পাতা। মচমচ শব্দে নানান সরীসৃপ হেঁটে যাচ্ছে এর উপর দিয়ে। বেশকিছু সরকারী ও জাতিসংঘের গাড়ি দেখলাম। সবকয়টার সামনের সিটে বসা লোক বেঘোরে ঘুমোচ্ছে। বান্দরবান শহরের যত কাছে আসছি, রাস্তা তত সমতল হচ্ছে। বাকীছাড়া মুখের কাছে আচমকা একটা ল্যান্ডক্রুজার ব্রেক কষলো। গাড়ি থেকে নামলেন বান্দরবানের আইনজীবী কৌশিক দা আর তার বন্ধুরা। কতদিন পর দেখা। সেই কত বছর আগে বগা লেকে দেখা হয়েছিল।

বুদ্ধ ধাতু জাদি তথা স্বর্ণ মন্দির পার হয়ে পশ্চিম বালাঘাটা। পাহাড়ি তুলা গবেষণা কেন্দ্রটা বালাঘাটা বাজারের কাছেই। বান্দরবানের দিকে যত এগুচ্ছি, ততই হোমকামিং টাইপ ফিলিংস প্রবলতর হচ্ছে।

পুলিশ লাইন্স, ব্রিগেড পার হয়ে রোয়াংছড়ি বাস স্টেশন। এখান থেকে সাঙ্গু ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তাটা পাহাড় কেটে বানানো। খানিকটা টানেলের মতো লাগে রাস্তাটাকে।

সাঙ্গু ব্রিজে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন তাহমিদ ভাই। চায়ের অর্ডার দিতেই চলে এলেন সিফাত ভাই। বান্দরবান শহরে একটা হোটেলের মালিক তিনি। সেখানেই থাকার যাবতীয় বন্দোবস্ত করে রেখেছেন তিনি। এর মধ্যেই ফোন দিল ফারাবী। আমার অবস্থান জেনে নিয়ে জানান দিল একটু পরেই দেখা হচ্ছে আমাদের। একটু পরেই বিশাল গ্যাং নিয়ে হাজির ও। সাথে সব চেনা মুখ। আরিফ, ফাহিমা, সাইফা, তৌহিদ, আসাদ। গায়ক রাফি আর ঝুমকার সাথেও পরিচয় হলো। ওরা সবাই যাবে রোয়াংছড়ির পাইক্ষ্যং পাড়া। বড়দিন পালন করার পরিকল্পনা নিয়েই এসেছে সবাই। একটু পরেই হাজির হলাম বান্দরবান সেনানিবাসের মেঘদূত ক্যাফেতে। এই জায়গার বসনিয়ান রুটি আমার বেশ পছন্দের। সাধারণত বান্দরবানে ট্রিপ শেষে এখানে খাওয়াটা আমাদের রুটিনের মধ্যেই পড়ে। আজ ওদের ট্রিপ শুরুই হলো এখানে খাওয়ার মধ্য দিয়ে। আদিম গুহাবাসী শিরোনামের দারুণ একটা গান শোনাল রাফি। ফাহিমা বাসা থেকে বেরিয়েছে কক্সবাজারে ইন্টারভিউ দিবে বলে। সেটাকে জায়েজ করে নিতে ওর মায়ের সাথে আমাকে ফোনে কথা বলিয়ে দিল। আন্টি জানতেন আমি কক্সবাজারে চাকরি করি। সে চাকরি যে আমি মাস ছয়েক আগেই ছেড়েছি সেটা আর আন্টিকে জানায়নি ফাহিমা। পরের সময়টুকু সাঙ্গু ব্রিজে রাফির গিটারের সাথে যুক্ত হল ওর দরাজ গলা। বেশ খানিকক্ষণ হেঁড়ে গলায় কোরাস গাইতেই চলে এলো আমাদের আরেক লোকোমাস্টার রাজু। সিফাত ভাইয়ের বাইকে চড়ে রাতের খাবারটা সারা হলো উনাদের রোয়াংছড়ি বাস স্টেশন লাগোয়া বাড়িতে।

আরও পড়ুন

** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৬০)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫৯)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫৮)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫৭)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫৬)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫৫)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫৪)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫৩)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫২)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫১)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫০)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪৯)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪৮)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪৭)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪৬)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪৫)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪৪)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪৩)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪২)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪১)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪০)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৯)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৮)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৭)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৬)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৫)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৪)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৩)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩২)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩১)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩০)​
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৯)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৮)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৭)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৬)​
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৫)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৪)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৩)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২২)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২১)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২০)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৯)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৮)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৭)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৬)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৫)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৪)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৩)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১২)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১১)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১০)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৯)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৮)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৭)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৬)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (দিনাজপুর-৩)
** পায়ে পায়ে ৬৪ জেলা (ঠাকুরগাঁও-২)
** পায়ে পায়ে ৬৪ জেলা (পঞ্চগড়-১)

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।