ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গাইবান্ধার ছয়জনের বিরুদ্ধে আগামী ১২ মার্চ ফরমাল চার্জ দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যনালে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান এবং প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নী।
আসামি রঞ্জু মিয়া ছাড়া মামলার পলাতক আসামিরা হলেন, আব্দুল জব্বার, মো. জাফিজার রহমান, আব্দুল ওয়াহেদ, মমতাজআলী ব্যাপারী ও আজগর হোসেন খান।
এর আগে গত ২৯ মে ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। তবে তাদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।
আসামিদের বিরুদ্ধে মোট চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
এক.
একাত্তরে জুন মাসের প্রথম দিকে রাজাকার আজগর হোসেন খানের নেতৃত্বে ৮/১০ জন রাজাকার এবং ১৫/২০ জন পাকিস্তানি দখলকারসহ গাইবান্ধা জেলা সদরের সাহাপাড়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করে। তারা অম্বিকা চরণ সরকার, দ্বিজেন চন্দ্র সরকার ও আব্দুল মজিদ প্রধানকে নির্যাতন করে। আসামিরা ফুল কুমারী রানী ও তার জা সাধনারানী সরকার (বর্তমানে মৃত) আটক করে নির্যাতন করে। তারা মুসলমান হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে কপালের সিঁদুর মুছে এবং হাতের শাখা ভেঙে দিয়ে ছেড়ে দেয়।
দুই.
গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আবু বক্কর, তারা আকন্দ, আনছার আলী এবং নছিম উদ্দিন আকন্দসহ মোট ৯ জনকে গুলি করে হত্যা করে এবং ৪০/৫০টি বাড়ির মালামাল লুণ্ঠন করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
তিন.
একই ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে লাল মিয়া বেপারী, আব্দুল বাকী এবং খলিলার রহমানসহ ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করে আসামিরা।
চার.
একই ইউনিয়নের নান্দিনা, মিরপুর, সাহারবাজার, কাশদহ, বিসিক শিল্প নগরী, ভবানীপুর এবং চকগায়েশপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক, ইসলাম উদ্দিন এবং নবীর হোসেনসহ মোট ৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
ইএস/এমজেএফ