ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাইব্যুনাল

হলি আর্টিজান মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য ২৬ ফেব্রুয়ারি 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
হলি আর্টিজান মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য ২৬ ফেব্রুয়ারি  হলি আর্টিজানে হামলার পরবর্তী দিন। ফাইল ফটো

ঢাকা: রাজধানীর গুলশানের স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুযারি) ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান নতুন এ দিন নির্ধারণ করেন।  

মঙ্গলবার মামলার সাক্ষগ্রহণের দিন ধার্য ছিলো।

কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য সময় বাড়ানোর আবেদন করেন।  

আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। এ মামলায় মোট সাক্ষী ২১১ জন; তবে এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন ২০ জন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে সাক্ষ্য দেন ওই হামলায় নিহত সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলামের ছোটভাই শামসুজ্জামান ও খালাত ভাই আনোয়ার হোসেন এবং রেস্তোরাঁর ক্রেতা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমের স্ত্রী শারমিনা পারভীন। পরে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করছিলেন আদালত।  

হামলার পর ওই রেস্তোরাঁয় অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তৎকালীন এসি রবিউল ইসলাম।

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি হলি আর্টিজান বেকারির হিসাব রক্ষক আরিফ হোসেন সাক্ষ্য দেন। রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে গত ২০১৬ সালের ১ জুলাই।

বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তৈরি করা এ ঘটনায় জঙ্গিরা ওই রাতে ২০ জনকে হত্যা করে; যাদের ৯ জন ইতালি, ৭ জন জাপান, ৩ জন বাংলাদেশি এবং একজন ভারতীয় নাগরিক।  

এছাড়া সন্ত্রাসীদের হামলায় দুজন পুলিশও প্রাণ হারায়। পরে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে হামলাকারী পাঁচজনও নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়; যাকে পরবর্তীতে হলি আর্টিজানের কর্মচারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।

এ হামলা মামলার আসামিরা হলেন- হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।

আসামিদের মধ্যে প্রথম ছয়জন কারাগারে; দুইজন পলাতক। তবে কারাগারে থাকা ছয়জনকে বুধবার আদালতে হাজির করা হয়।  

গতবছরের ২৩ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। তবে ‘আলোচিত’ হলেও ওই ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমকে চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০১৮ সালের ৮ আগস্ট আট আসামির বিরুদ্ধে আদালত চার্জশিট গ্রহণ করার পর ২৬ নভেম্বর এ মামলার বিচার কাজ শুরু হয়।  

এদিকে সম্প্রতি এ মামলার পলাতক আসামি মামুনুর রশিদ ওরফে রিপনকে গত ১৯ জানুয়ারি রাতে গাজীপুরের বোর্ডবাজারের একটি বাস থেকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আর আব্দুস সবুর খান ওরফে হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে খালেদকে ২৫ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থেকে গ্রেফতার করা হয়।  

এই দুইজনক সবুজবাগ ও খিলগাঁও থানার পৃথক দুটি মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে আছে। তবে এখনও পর্যন্ত হলি আর্টিজান হামলা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখায়নি পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
এমএআর/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ট্রাইব্যুনাল এর সর্বশেষ