বইমেলাকে ঘিরে প্রকাশকরা কি চিন্তাভাবনা করছেন তা জানতে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় আগরতলার প্রকাশক তীর্থঙ্কর দাসের।
তীর্থঙ্কর দাস বই প্রকাশনা ও বইমেলায় নতুন ধারার জন্ম দিতে গত কয়েক বছর ধরে রীতিমতো গবেষণাধর্মী কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি ত্রিপুরা রাজ্যে প্রথম ই-বইয়ের পরিসেবা নিয়ে আসেন। তার নীহারিকা প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রথম একাধিক ই-বুক চালু হয়। এখন দেশ-বিদেশের পাঠকরা অনলাইনে ত্রিপুরার বই পড়তে পারছেন। পাশাপাশি তিনিই প্রথম বইমেলায় পরিবেশবান্ধব ব্যাগ নিয়ে আসেন। এরপর ২০১৬ সাল থেকে আগরতলা বইমেলা কর্তৃপক্ষ বইমেলাকে প্লাস্টিক বর্জিত ঘোষণা দিয়ে কাগজের ব্যাগকে বাধ্যতামূলক করেছে।
তার সঙ্গে কথা বলতে আগরতলার আস্তাবল ময়দান এলাকার বাড়িতে গেলে দেখা যায়, বাড়ি ভর্তি নতুন বই। বড় বড় প্যাকেট ছিটিয়ে আছে এদিক-ওদিক। এমনকি বইয়ের প্যাকেট দখল করে নিয়েছে বসার ঘরের মেঝে সোফা, বিছানার সিংহভাগ।
ঘরের মধ্যে কাজ করতে করতে বাংলানিউজকে বলেন, এবছর বইমেলায় তার প্রকাশনা থেকে মোট ৩০টি বই প্রকাশিত হচ্ছে। এই বইগুলোর মধ্যে আছে গল্প, কবিতা, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, প্রবন্ধ, গবেষণাধর্মী লেখা ইত্যাদি। সেইসঙ্গে থাকবে পুরাতন বইয়ের নতুন সংস্করণও।
তিনি জানান, বইয়ের গুণগত মান ঠিক রাখতে দেশের বড় বড় প্রকাশকদের সঙ্গে পাল্লা দিতে তিনি বই ছাপা, বাইন্ডিংসহ যাবতীয় কাজ দিল্লি থেকে করান। এর জন্য অন্যান্য প্রকাশকদের তুলনায় খরচা অনেকটাই বেশি পড়ে। তারপরও পাঠকদের হাতে আন্তর্জাতিক মানের বই তুলে দেওয়ার জন্য তিনি এই কাজ করেন।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ প্রকাশক নতুন কোনো শিল্পীকে দিয়ে বইয়ের প্রচ্ছদ করাতে চান না কিন্তু আমার বেশিরভাগ বইয়ের প্রচ্ছদ নতুন শিল্পীদের দিয়ে করাচ্ছি।
এই ব্যতিক্রমী ভাবনা থেকে এবছরই প্রথম তিনি বইমেলার আগে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি আগরতলার সিটি সেন্টারে ‘নীহারিকা গ্রাফিতি’ নামক বই ও ছবির প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। এই অনুষ্ঠানে প্রতিদিন উপস্থিত থাকবেন কবি লেখকসহ বুদ্ধিজীবীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৭
এসসিএন/আরআর/বিএস