রাজ্যের একেবারে প্রান্তিক শহর সাব্রুম পর্যন্ত রেলপথ আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে পৌঁছে যাবে। সেখান থেকে সড়ক পথে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ হবে।
দু’দিনের ত্রিপুরা সফরের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ভারত সরকারের রেলওয়ে মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজেন গোসাই রাজ্য অতিথিশালায় উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (এনএফআর) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
এর আগে সকালে ত্রিপুরার রাজ্যপাল এবং দুপুরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ও ত্রিপুরার পরিবহন দফতরের মন্ত্রী মানিক দে’র সঙ্গে বৈঠক করেন রাজেন গোসাই।
ত্রিপুরা রাজ্যের রেলওয়ে ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগরতলা-আখাউড়া রেল সম্প্রসারণের জন্য চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে জমি আধিগ্রহণ হয়ে গেলে মে মাসে ভারতীয় অংশে কাজ শুরু হয়ে যাবে। ভারতীয় অংশে নির্মাণ কাজ করবে ভারতীয় ঠিকাদারি সংস্থা ইরকন এবং বাংলাদেশ অংশে অন্য সংস্থা। তবে বাংলাদেশ অংশে নির্মাণ কাজের পরামর্শদাতা হিসেবে থাকবে ইরকন।
আগরতলা-আখাউড়া রেল লাইন চালু হলে আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা রেল যোগাযোগ সম্ভব বলেও জানান রাজেন গোসাই।
তিনি বলেন, আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৬শ’ কিমি। কিন্তু আগরতলা থেকে গৌহাটি হয়ে কলকাতার দূরত্ব দেড় হাজার কিলোমিটার। তাই এই পথে অল্প সময়ে আগরতলা থেকে ঢাকা বা কলকাতা যাওয়া সম্ভব হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রীর সচিব জে বালাজি ও এনএফআর’র জি এম এইচ কে জাগ্গি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৭
এসসিএন/জিপি/জেডএম