ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরায় আখ চাষে সফল চাষিরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
ত্রিপুরায় আখ চাষে সফল চাষিরা ত্রিপুরা রাজ্যেও আখ চাষে সফল চাষিরা

আগরতলা: বিশ্বের প্রথম দশটি আখ উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এর মধ্যে আখ চাষে সফল ত্রিপুরার কিছু চাষি।ভারতে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩৪ কোটি ৮১ লাখ ৮৭ হাজার ৯শ' টন আখ উৎপাদিত হয়। এর বেশির ভাগই উৎপাদিত হয় উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, বিহার মহারাষ্ট্র প্রবৃত্তি রাজ্যে। তাছাড়া দেশের অন্যান্য রাজ্যেও আখ উৎপাদিত হয়।

সুমিষ্টি রসালো এ আখের বৈজ্ঞানিক নাম Saccharum officinarum। আখের রস থেকে তৈরি হয় চিনি ও গুড়।

 

ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু কিছু এলাকায় আখ চাষ হয়। এর মধ্যে সিপাহীজলা জেলার মেলাঘর এলাকার কিছু চাষি আখ চাষ করে আসছেন বংশ পরম্পরায়। আবার কেউ কেউ নতুন করে আখ চাষের প্রতি ঝুকছেন।  

মেলাঘরের আখ চাষি দীপক মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, তার পরিবার বংশ পরম্পরায় আখ চাষের সঙ্গে যুক্ত। তিনি এবছর প্রায় দুই বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছেন।  ইতিমধ্যে ৯০ হাজার রুপি'র আখ বিক্রি করে নিয়েছেন। আখ চাষে লাভ ভালই হয় বলে জানান তিনি।

পাইকারি দরে প্রতি ১শ' আখ ২ হাজার ৫শ' রুপি দরে বিক্রি করেন। তবে বাজারে খুচরা বিক্রি করলে সর্বোচ্চ ৫০রুপি দরে একটি আখ বিক্রি হয় বলেও জানান। আখ চাষে খরচ খুব সামান্য, এগুলোতে রোগ বালাই কম হওয়ায় সার ও কিটনাশক খুব কম লাগে। আখ চাষে বীজের প্রয়োজন হয়, কাটা আখের উপরের অংশ লাগালেই হয়ে যায়। তবে সব চাষি আখ চাষে সফলতা পায়না বলেও জানান দীপক মজুমদার।  
ত্রিপুরা রাজ্যেও আখ চাষে সফল চাষিরাঅপর এক আখ চাষি বলেন,  মেলাঘর এলাকার মাটিতে মূলত বরিশালি ও ২০৮ এই দুই প্রজাতির আখ চাষ ভালো হয়। বরিশালি আখ মূলত আগের রস বিক্রেতাদের পছন্দের এবং ২০৮ আখ চিবিয়ে রস খাওয়ার জন্য বিক্রি হয়। এই এলাকার প্রায় ২৫ পরিবার আখ চাষের সঙ্গে যুক্ত।  

এক বিঘা জমিতে আখ চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ৫০ হাজার রুপি যদি ফলন ভালো হয় তবে আখ বিক্রি করে ২লাখ রুপি পাওয়া যায়।

মেলাঘরের আখ সিপাহীজলা জেলার বিভিন্ন বাজারের পাশাপাশি গোমতী জেলা ও রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এসসিএন/বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।