এই সময়ে সকাল-সন্ধ্যা ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু জমবে, ভোরে বাতাসে থাকবে হিমেল ভাব, পড়বে হালকা কুয়াশাও। কিন্তু আবহাওয়া দফতরের তাপমাত্রার পারদ কিন্তু ঠিক উল্টো কথা বলছে।
আগরতলায় রোববার (৫ নভেম্বর) দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৮ ডিগ্রির আশপাশে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস এমনই।
শীতের আমেজ উপভোগ করার জন্য রাজ্যবাসীকে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ আগামী ৭ দিন দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দফতর জানাচ্ছে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ১৭ ডিগ্রির আশপাশে থাকবে।
তবে শীত না পড়লেও শীতের পোশাক গরম জামা, চাদর, সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বলসহ অন্য সামগ্রী নিয়ে আগরতলায় চলে এসেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। এসব ব্যবসায়ী মূলত পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, সিকিম প্রভৃতি জায়গা থেকে আসেন। তারা রাজ্যবাসীর কাছে ভুটানি বলে পরিচিত।
প্রতি বছরের মতো এবছরও রাজধানীর শকুন্তলা রোডের পাশের খালি জায়গায় অস্থায়ী শড তৈরি করে দোকান নিয়ে বসেছেন। সকাল-সন্ধ্যা এই অস্থায়ী বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন রাজ্যবাসী।
এখনো তো শীত পড়েনি, বিক্রি কেমন হচ্ছে- এর উত্তরে ভুটানি ব্যবসায়ী উগেন বাংলানিউজকে বলেন, এখন বাজারে মানুষ এলেও বেশির ভাগই দেখতে আসছেন, তবে শীত পড়লে বিক্রি বাড়বে।
মনিও নামে এক মাঝবয়সী নারী ব্যবসায়ী জানান, আগের বছরগুলির মতো এবছরও ব্যবসা ভালো হবে বলে তার আশা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৭
এসসিএন/এএ