ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

বাতিল শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়লো ৬ মাস

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
বাতিল শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়লো ৬ মাস সংবাদ সম্মেলনে রাজ্য সচিবালয়ে শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা: আগামী ৩১ ডিসেম্বর ত্রিপুরা রাজ্যের ১০ হাজার ৩শ' ২৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল বলে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন তার মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে।

ত্রিপুরা সরকারের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালত শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ আরো ৬ মাস বৃদ্ধির রায় দিয়েছেন বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর)।

ত্রিপুরা রাজ্যের শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট'র রায়কে স্বাগত জানিয়েছে সরকার।

রায় ঘোষণার পর এদিন রাজ্য সচিবালয়ে শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, আপাতত স্বস্তি মিলেছে। যদিও রাজ্য সরকার চাকরির মেয়াদ ১ বছর বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিল। সরকার আদালতকে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে।
 
তিনি আরো বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত ১০ হাজার ৩শ' ২৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল বলে রায় দেওয়ার পর থেকে রাজ্য সরকার আদালতের নির্দেশ মেনে টিচার ইলিজিবিটি টেস্ট (টিইটি) দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। টিইটি দিয়ে এখন পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৯শ' ২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

এই অল্প সংখ্যক শিক্ষক দিয়ে বিরাট সংখ্যক শিক্ষকের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল বাতিল শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ ১ বছর বৃদ্ধির জন্য।

তিনি বলেন, রাজ্য সরকার আশা করছে ৬ মাসের মধ্যে টিইটি পরীক্ষা দিয়ে আরো শিক্ষক নিয়োগ করা সম্ভব হবে। এই সময় পর্যন্ত এই সকল শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়গুলোর পঠন পাঠন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। এই রায় না দিলে বিদ্যালয়গুলোর পড়াশুনা জারি রাখাই কঠিন হয়ে পড়তো। ফলে আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর।  

১২ হাজার অশিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১৬ জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে। আশা করা যায় সেখানেও কিছু আশার আলো পাওয়া যাবে বলেও মত ব্যক্ত করেন মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
এসসিএন/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।