দিনটি উপলক্ষে ত্রিপুরা রাজ্যজুড়ে খ্রিস্ট ধর্মের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর মানুষও এ আনন্দে মেতে ছিলেন। এদিন রাজধানী আগরতলায় মানুষের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সান্তাক্লজ সাজিয়ে পথচলতি ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের চকলেট, বিস্কুটসহ নানা উপহার দেওয়া হয়।
রাজধানীর শকুন্তলা রোড, সিটি সেন্টার, বিগবাজার, লক্ষ্মী নারায়ণবাড়ী রোডের সেরাওয়ালিসহ আরও কিছু এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে মানুষ ভিড় জমিয়ে ছিলেন।
তবে এদিন সন্ধ্যা হতে উপচে পড়া জনতার ঢল নামে আর এম এস এলাকায়। এখানে কেকের দোকানগুলোর সামনে কয়েক হাজার মানুষের ভিড় জমে।
রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ভিড়ও। আট থেকে আশি, সব বয়সী মানুষদের দেখা মেলে এই ভিড়ে। যুবক যুবতীদের মধ্যে বাড়তি উচ্ছাস লক্ষ্য করা গেছে। তাদের অনেকেই পরেছিলেন শান্তার লাল টুপি, হাতে রঙ-বেরঙের বেলুন।
এখানে দাঁড়ানো সান্তাকে সঙ্গে নিয়ে কেউ সেলফি তুলতে ব্যস্ত, আবার কেউ সান্তার হাত থেকে সংগ্রহ করলেন উপহার সামগ্রী।
প্রায় সবার হাতে নানা আকারের কেকের প্যাকেট। সেই সঙ্গে রঙিন আলোক মালায় ঝলমল করছে রাস্তার দুই পাশের দোকানসহ উঁচু উঁচু অট্টালিকা।
‘আগরতলা শহরের এই দৃশ্য এক লহমায় মনে করিয়ে দেয় বড়দিনের সময়ের কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের কথা,’ আর এম এস এলাকায় দাঁড়িয়ে বাংলানিউজকে এভাবেই বলছিলেন অধ্যাপক ড. শ্রীমন্ত রায়।
আনন্দে সামিল হতে আসা যুবক মুন্না সাহা জানান, প্রতিবছরই বড়দিন উপলক্ষে বন্ধুবান্ধব মিলে আনন্দ করেন তারা। তবে এবছর এমন জন ঢল তিনি প্রথম দেখেছেন।
সান্তাক্লজই এবারের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু বলে জানালেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
এসসিএন/এমএ