ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরায় ভ্রাম্যমাণ খাদ্য পরীক্ষাগার চালু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৯
ত্রিপুরায় ভ্রাম্যমাণ খাদ্য পরীক্ষাগার চালু ত্রিপুরার ভ্রাম্যমাণ খাদ্য পরীক্ষাগার। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): খাবারে ভেজাল পরীক্ষা করতে ত্রিপুরা স্বাস্থ্য দফতর চালু করলো ভ্রাম্যমাণ খাদ্য পরীক্ষাগার। ‘ফুড সেফটি অন উইলস্’ নামের পরীক্ষাগারটি এমন একটি গাড়ি, যার মধ্যে রয়েছে খাবারের গুণগতমান পরীক্ষার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে রাজ্যের রাজধানী আগরতলার জি বি বাজারে প্রথমবারের মতো সচেতনতামূলক প্রচারণা চালায় পরীক্ষাগারটি।  

স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি ফুড সেফটি কমিশনার ড. অনুরাধা মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, আগরতলায় খাবারের গুণগতমান পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগার রয়েছে।

কিন্তু সবসময় বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা এনে পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না। আবার অনেক সময় রাজ্যের অন্য জেলা থেকে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে আগরতলায় আনার আগেই তা নষ্ট হয়ে যায়। ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার এসব সমস্যার সমাধান করবে। এটি রাজ্যের যেকোনো প্রান্তে পৌঁছে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেবে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথোরিটি অব ইন্ডিয়া’ এ পরীক্ষাগারটি ত্রিপুরা সরকারকে দিয়েছে। বর্তমানে লোকসভা নির্বাচনের কারণে আদর্শ নির্বাচন বিধি চালু রয়েছে, তাই এদিন শুধু সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। আগামী ২৩ মে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর গাড়িটি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কার্যক্রম চালাবে।

ত্রিপুরা সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের ফুড অ্যানালিস্ট ড. করুণাময় নাথ বলেন, এ পরীক্ষাগারের মাধ্যমে দুধ, মসলা, তেলসহ অন্যান্য সামগ্রীর গুণগতমান পরীক্ষা করা যাবে। খাবারে দু’ধরনের ভেজাল হয়- নিম্নমানের কাঁচামাল দিয়ে তৈরি ও খাবারের মধ্যে এমন কিছু মেশানো, যা খাওয়ার অযোগ্য। ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারে এ দু’ধরনের ভেজালই নির্ণয় করা যাবে।

তিনি বলেন, এ পরীক্ষাগারটি মূলত ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সচেতন করতে চালু হয়েছে। তারা স্বেচ্ছায় নিজেদের খাদ্যসামগ্রী এনে পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারবেন তাতে ভেজাল আছে কি-না।  

ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারে খাবার পরীক্ষা করে ভেজাল পাওয়া গেলে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলেও জানান ড. করুণাময় নাথ।

ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারের কার্যক্রমে সবসময় দু’জন বিশেষজ্ঞ সঙ্গে থাকবেন।  

প্রচারণার প্রথমদিন উপস্থিত ছিলেন ফুড সেফটি অফিসার নির্মলেন্দু দত্ত, সিনিয়র কেমিস্ট অনিল বর্মণসহ অন্য কর্মকর্তারা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ১০ মে, ২০১৯
এসসিএন/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।