ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

‘ভারতে যেকোনো মুহূর্তে নির্বাচন হতে পারে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
‘ভারতে যেকোনো মুহূর্তে নির্বাচন হতে পারে’

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মণ বলেন, ভারতজুড়ে যে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে, যেকোনো মুহূর্তে দেশে নির্বাচন হতে পারে। এই নির্বাচন সময়ের আগেই হতে পারে।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  

ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন দলের সাবেক সহ-সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস।

ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দিতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এদিন প্রদেশ যুব কংগ্রেস, প্রদেশ মহিলা কংগ্রেস, সেবা দল, দলের ছাত্র সংগঠন, লিগ্যাল সেল, সংখ্যালঘু সেলসহ অন্যান্য শাখা সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানানো হয়।

কংগ্রেস ভবনের সামনে আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক সভাপতি বিরজীৎ সিনহা, সহ-সভাপতি তথা মুখপাত্র তাপস দে, যুব কংগ্রেস সভাপতি পূজন বিশ্বাস, নারী নেত্রী লক্ষ্মী নাগ, অর্চনা করসহ দলের বিভিন্ন স্তরের কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে নবনিযুক্ত সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যজুড়ে চরম অব্যবস্থাপনা। রাজ্যজুড়ে কাজ নেই, খাবার নেই, মানুষ চরম দুরবস্থার মধ্যে রয়েছেন। কাজের জন্য মানুষকে অন্য রাজ্যে যেতে হচ্ছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মুখে বলছেন, রাজ্যে কোনো অভাব নেই। কিন্তু গ্রামীণ এলাকায় গেলে দেখা যায় সাধারণ মানুষ কী কঠিন অবস্থায় রয়েছেন। এসব কারণে বর্তমান সরকারের ওপর মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। মানুষ এর থেকে পরিত্রাণ চাইছে।

তিনি দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এর বিরুদ্ধে চরম আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে ঘোষণা দেন। সামনে ত্রিপুরা রাজ্যে উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং রাজ্যের পরবর্তী নির্বাচনে কী রণনীতি অনুসরণ করা হবে, তা তিনি দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বসে শিগগিরই স্থির করবেন বলেও জানান।

‘প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা বিচ্ছিন্নভাবে রয়েছেন। তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণে রাজ্যে কংগ্রেস শক্ত অবস্থানে আসতে পারছে না। এই অবস্থাকে তিনি কীভাবে সামাল দেবেন। ’ এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কংগ্রেসের মধ্যে কোনো কোন্দল নেই। এ কথাগুলো মিডিয়ার প্রচার মাত্র। বর্তমান শাসক দল গণমাধ্যমকে প্রভাবিত করে এ ধরনের খবর প্রকাশ করতে সংবাদ মাধ্যমগুলোর মালিকদের বাধ্য করছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য শাসকদল তা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তবে ধীরে ধীরে মানুষ বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ফের কংগ্রেসের জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
এসসিএন/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।