এ বছর এ উৎসব ১০ বছরে পদার্পণ করেছে। পুথিবা সামাজিক-সংস্কৃতিক সংস্থার উদ্যোগে ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসব ও মেলা হবে।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ত্রিপুরা সরকারের মৎস্য ও রাজস্ব দপ্তরের মন্ত্রী এন সি দেববর্মাসহ ত্রিপুরা ও মনিপুর থেকে আসা বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) পুথিবা দেবতা মন্দিরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এস দীপক কুমার সিংহ।
তিনি বলেন, পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবে উপস্থিত থাকবেন ত্রিপুরা সরকারের বন দপ্তরের মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া, ত্রিপুরা সরকারের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা, মনিপুর রাজ্যের বন ও রাজস্ব দপ্তরের মন্ত্রী টি এম শ্যাম কুমার, ত্রিপুরার পূর্ব আসনের সংসদ সদস্য রেবতী কুমার ত্রিপুরা, মনিপুর রাজ্যের সংসদ সদস্য ড. আর কে রঞ্জনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
উৎসবে ত্রিপুরা ও মনিপুর রাজ্যের শিল্পীরা মনিপুরী সম্প্রদায়ের চিরাচরিত সংগীত, নৃত্য ও মার্শাল আর্ট পরিবেশন করবেন। এর জন্য মনিপুর রাজ্য থেকে ১০০ জন শিল্পী আসবেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, আসাম, মিয়ানমার থেকে লোকজন আসবেন।
দীপক কুমার সিংহ বলেন, এ উৎসবের অর্থ হচ্ছে দেবতাকে আনন্দ দেওয়া। মনিপুরের ভাষায় লাই শব্দের অর্থ হচ্ছে দেবতা ও হারাওবা শব্দের অর্থ হচ্ছে আনন্দ।
তিনি বলেন, ১২০ বছরের পুরাতন এ মন্দিরে এ বছরের উৎসবের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এ বছর উৎসব ও একে ঘিরে যে মেলা অনুষ্ঠিত হবে তা সম্পূর্ণরূপে প্লাস্টিক বর্জিত ঘোষণা করা হয়েছে। মেলায় উপস্থিত দোকানদাররা প্লাস্টিকের ব্যাগে করে কোনো সামগ্রী বিক্রি করতে পারবেন না।
একইভাবে মেলা আয়োজক কমিটিও প্লাস্টিকের কোনো সামগ্রী ব্যবহার করবে না। মেলার শেষ দিন অর্থাৎ ৬ জানুয়ারি মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে। সাধারণ মানুষদের মধ্যে মাটির পাত্রে এ মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
এসসিএন/আরবি/