আগরতলা (ত্রিপুরা): দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে ত্রিপুরা রাজ্যে। রাজ্যের দক্ষিণ জেলার অন্তর্গত মনুবনকুল এলাকায় হবে এটি।
এই বিশ্ব বিদ্যালয়টি স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে ত্রিপুরা সরকারের উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছে ধর্ম দীপা ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে।
বাংলানিউজকে এ কথা জানিয়েছেন ট্রাস্টেরসহ সভাপতি কিমা সারা ভান্তে। এই ট্রাস্টই বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনা করবে।
তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম লাওস, কম্বোডিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বৌদ্ধ দর্শনসহ বৌদ্ধ দর্শন সংক্রান্ত বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা করবে ছাত্র-ছাত্রীর। ভারতের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে উচ্চশিক্ষা নিতে পারবেন।
এখন তারা কেজি ওয়ান থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একটি স্কুল পরিচালনা করছেন। করোনা মহামারির জন্য অন্যান্য স্কুলের মতো এই স্কুলটি বন্ধ রয়েছে। করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে বলেও জানান তিনি।
ধর্ম দীপা ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ত্রিপুরায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের আবেদন জানানো হয়েছে।
ত্রিপুরা সরকারের উচ্চ শিক্ষা দফতরে এটি কি পর্যায়ে রয়েছে? ত্রিপুরা সরকারের শিক্ষা দফতরের সোমবার (১০ আগস্ট) মন্ত্রী রতন লাল নাথের কাছে বাংলানিউজের তরফে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ত্রিপুরা সরকারের মন্ত্রিপরিষদ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। তারা চাইলে যে বিশ্ববিদ্যালয় চালু করে দিতে পারেন। যেহেতু এটি একটি ট্রাস্টের পরিচালিত হবে তাই খানিকটা দেরি হচ্ছে। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি যাতে দ্রুত চালু হয় এজন্য সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করবে বলেও জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২০
এসসিএন/এএটি