ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

বড়সড় অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পেল আগরতলা শহর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২০
বড়সড় অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পেল আগরতলা শহর

আগরতলা (ত্রিপুরা): বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে অল্পতে রক্ষা পেল ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা হরি গঙ্গা বসাক এবং কাঁসারি পট্টি এলাকা।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টা নাগাদ রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত হরি গঙ্গা বসাক রোড এবং কাঁসারি পট্টি রোডের মোড়ে তিন তলা বন্ধ দোকানের মধ্যে আগুন দেখতে পান স্থানীয় লোকজন।

সঙ্গে সঙ্গে তারা দমকল অফিসে খবর দেন। খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়ে। ততক্ষণে আশেপাশে এলাকার দোকানদারও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। কিন্তু আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল নিচের তল থেকে একেবারে উপরের তলা পর্যন্ত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় দমকলকর্মীরা আরো দমকল পাঠানোর আহ্বান জানান। সব মিলিয়ে মোট ছয়টি দমকলের ইঞ্জিন দীর্ঘ তিন ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টা করে আগুন আয়ত্তে আনে।

মহারাজগঞ্জ বাজার অগ্নিনির্বাপক দফতরের অফিসের নিবার্হী কর্মকর্তা (ওসি) বিদ্যুৎ চন্দ্র দাস আগুন আয়ত্তে আসার পর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক ভাবে তারা সন্দেহ করছেন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। কারণ দোকানটি বাইরের দিক থেকে বন্ধ ছিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে দোকানের মালিক দেবপ্রসাদ দেবনাথ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন সব মিলিয়ে তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি রুপি। তিনটি তল জুড়েই তার দোকানের পণ্য সামগ্রী ছিল। মূলত ইলেকট্রিক্যাল সামগ্রী তিনটি তলে মজুদ ছিল বলেও জানান তিনি। তার বাড়ি রাজধানীর পার্শ্ববর্তী নরসিংগড় এলাকায়।

অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান আগুন যদি অন্য দোকানে ছড়িয়ে পড়তো তাহলে তা আয়ত্তে আনা কঠিন হয়ে পড়তো এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও কয়েক’শ গুণ বেশি। কারণ এই এলাকাটি মূলত পাইকারি ব্যবসার জায়গা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘন্টা, অক্টোবর, ২০২০
এসসিএন/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।