রিয়াদ: পবিত্র কাবা ধৌত করার কাজে অংশ নিলেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম। শনিবার (০৮ নভেম্বর) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ধৌত করা হয় পবিত্র কাবা শরীফকে।
এর আগে শুক্রবার রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম কাবা শরীফ ধৌত করার কাজে অংশ নিতে রিয়াদ থেকে মক্কা যান। সূত্রটি জানায়, রাষ্ট্রদূত কাবা ধৌত করার পর দু-রাকাত নফল নামাজ আদায় করে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের সবার জন্য দোয়া করেন। এটা শহীদুল ইসলামের অষ্টমবার কাবা ধৌত করার কাজে অংশ নেওয়া যা অন্য কোনো দেশের রাষ্ট্রদূতের করা সম্ভব হয়নি।
সৌদি বাদশা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের পক্ষে মক্কার গভর্নর যুবরাজ মিশাল বিন আবদুল্লাহর নেতৃত্বে দুটি পবিত্র মসজিদের (মক্কা ও মদিনা) প্রেসিডেন্সি প্রধান আবদুর রহমান আল সুদাইস ছাড়াও সৌদি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, বিভিন্ন মুসলিম দেশের সরকার প্রধান, কূটনীতিক এবং ইসলামিক স্কলার্সরা পবিত্র কাবা ঘর ধৌতকরণে অংশ নেন।
ধৌতকরণ শেষে প্রত্যেকে দাঁড়িয়ে আল্লাহ্র কাছে নামাজের মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করেন। ১৫ শাবান (রমজানের আগে) এবং হজের পর মহররম মাসের মাঝামাঝি সময়ে পবিত্র কাবাঘর ধৌত করা হয়। কাবা শরীফের ভেতর দুই রাকাত নফল নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ধোঁয়ামোছার কাজ। ভেতরের দেওয়ালগুলো পরিষ্কার করতে ব্যবহার করা হয়, সাদা কাপড়, গোলাপজল, উদ ও কস্তুরির সুগন্ধি। এরপর জমজম কূপের পানির সঙ্গে গোলাপের সুগন্ধি মিশিয়ে তা মেঝেতে ঢালা হয় এবং খালি হাত ও পামগাছের পাতা দিয়ে তা মোছা হয়।
কাবা শরীফের ভেতরে প্রবেশের আগে গভর্নরসহ অন্যরা কাবার চারপাশে সাতবার প্রদক্ষিণ (তাওয়াফ) করেন। জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ নতুন গিলাফ পড়ানো হয়। পবিত্র কাবাকে বাইতুল আতিক বা সবচেয়ে প্রাচীন বলেও অভিহিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৪