ঢাকা: সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭১৯ জন হাজি।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মিনায় ‘শয়তান স্তম্ভে’ পাথর ছোড়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে সৌদি সিভিল ডিফেন্সের বরাত দিয়ে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
সংবাদে জানানো হয়, হুড়োহুড়ি শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সৌদি সিভিল ডিফেন্সও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হাজিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে তাদের কর্মীবাহিনী।
কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় চারটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে, হতাহতদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি রয়েছেন কি না, সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট।
কনস্যুলেটের কনসাল (হজ) মো. আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি হাজির মৃত্যুর খবর পাইনি। তবে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি।
চলতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশ লাখেরও বেশি মানুষ পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন। গত মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা। এরই ধারায় গত সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর মিনার উদ্দেশে রওনা দেন মুসল্লিরা।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে মক্কায় পবিত্র মসজিদ আল হারামের (গ্র্যান্ড মসজিদ) বর্ধিতাংশের নির্মাণ কাজের সময় ছাদ থেকে ক্রেন ভেঙে ১০৭ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত হন আরও অন্তত আড়াইশ।
২০০৬ সালেও মিনায় শয়তানের স্তম্ভে পাথর ছোড়ার সময় পদদলিত হয়ে ৩৬৪ জন হাজির মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৫/আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা
আরএইচ/এমএ
** মিনায় পদদলিত হয়ে মৃতের ঘটনায় খালেদার শোক
** মিনায় পদদলিত হয়ে দেড়শ হাজির মৃত্যু