রিয়াদ: সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আল খোবারে এক পাকিস্তানি নাগরিক হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে মাফ পেয়েছেন ৩ বাংলাদেশি নাগরিক।
২০০৯ সালে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডে জড়িত বি-বাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বলদহর গ্রামের মাহিনুর, কুমিল্লার লিটন এবং ফরিদপুরের বেলায়েত দোষী সাব্যস্ত হন।
মাহিনুরের বোন জামাই নুরু মিয়া মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে বাংলানিউজকে মাফ পাওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে আল খোবারে ৩ বাংলাদেশির ছুরিকাঘাতে মারা যান পাকিস্তানি নাগরিক মারুফ খান। হাইজ্যাকের উদ্দেশে পাকিস্তানিকে আক্রমণ করেছিলো তিন বাংলাদেশি।
মৃত মারুফ খানের পরিবারের সঙ্গে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং অভিযুক্ত পরিবারের লোকজনের আলোচনার এক পর্যায়ে বাংলাদেশিদেরকে মাফ করে দেন তারা।
পরে বিষয়টি আদালতে গেলে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে ৩ বাংলাদেশির পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে চার লাখ সৌদি রিয়াল দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম) সারওয়ার আলম বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয়ে আমরা অফিসিয়ালি কোনো কাগজপত্র এখনো পাইনি।
জানা গেছে, আগামী ১বছরের মধ্যে আদালতের রায়ে দেওয়া চার লাখ সৌদি রিয়াল পাকিস্তানির পরিবারকে দিলেই জেল থেকে মুক্তি পাবেন তিন বাংলাদেশি। অন্যথায় আরো এক বছর পর ৩ বাংলাদেশিকে দেউলিয়া ঘোষণা করে মুক্তি দেবে সৌদি কতৃপক্ষ।
এদিকে মাহিনুরের বোন জামাই বাংলানিউজকে বলেন, ৩ বাংলাদেশির পরিবারের পক্ষ থেকে এক বছরের মধ্যে ৪লাখ রিয়াল যোগার করা সম্ভব নয়। তাই বিষয়টি নিয়ে সৌদি সরকার অথবা মোটা অংকের যাকাত দেয় এমন সৌদি নাগরিকদের সঙ্গে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহকে কথা বলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস মসীহ স্যার উদ্যোগ নিলে ৪লাখ রিয়াল দিয়ে এক বছরের মধ্যেই ৩ বাংলাদেশিকে মুক্ত করা সম্ভব।
এদিকে সৌদি আরবের দাম্মামে নিজের কফিলকে (স্পন্সর) হত্যার অভিযোগে এক বাংলাদেশিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। অভিযুক্ত বাংলাদেশির বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায়। বাংলাদেশির রায় পুনঃবিবেচনার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। আগামী ১/২মাসের মধ্যে আপিলের ফলাফল পাওয়া যাবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক দূতাবাসের এক কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৬
বিএস