রিয়াদ: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের বুকে ৫৫ একর জায়গার উপর গড়ে তোলা হয়েছে রিয়াদ চিড়িয়াখানা।
আর এই চিড়িয়াখানার সৌন্দর্য্য বাড়াচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় প্রাণী রয়েল বেঙ্গল টাইগার। মরুভুমির দেশ সৌদি আরবে এসে ভারত ও বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকার সুদর্শন বাঘ দেখে অবিভূত হন চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা।
১৯৫৭ সালে রিয়াদের মালাজ এলাকায় নির্মিত চিড়িয়াখানাটি ১৯৮৭ সালে তৎকালীন রিয়াদের গভর্ণর বর্তমান সৌদি বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ এর তত্বাবধানে সংস্কার কাজ করে জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
পশু-পাখি আর জীব-জন্তু যাতে দর্শনার্থীদের উপর আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মাত্র ২/৩ মিটার দূর থেকে দেখার ব্যবস্থা রয়েছে বাঘ, ভাল্লুক, সিংহ, হরিণ, জিরাপ, হাতি, বানর, উটপাখি, বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস, কুমির, পেঙ্গুইন, উট, সজারো, জেব্রা, হনুমান, মেষ, টিয়াসহ প্রায় দেড় হাজারের বেশি জীব-জন্তু।
এই চিড়িয়াখানাতে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছেন ৭০ জনের মতো বাংলাদেশি।
চিড়িয়াখানাতে রয়েছে ১৫শ’র বেশি পশু-পাশি এবং ৪০ প্রজাজির জীব-জন্তু। এতে আরও রয়েছে বেশ কয়েকটি কফি শপ, রেস্টুরেন্ট, পুরুষ এবং নারীদের জন্য আলাদা বিশ্রামাগার, টয়লেট, সুবিশাল কার পার্কিং ব্যবস্থা এবং বাচ্চাদের জন্য রয়েছে খেলার মাঠ।
চিড়িয়াখানায় প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ১০রিয়াল, শিশুদের জন্য ৫ রিয়াল, এবং ছাত্রদের জন্য ২ রিয়াল। হাটতে না পারা দর্শনার্থীরা ২ রিয়ালে ট্রেনে করে পুরো চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যাবে মাত্র ২০ মিনিটে।
শনিবার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয় দুপুর পর্যন্ত। এছাড়া সপ্তাহের অন্য সময় সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা এবং দুপুর ১টা থেকে মাগরিবের আজান পর্যন্ত খোলা থাকে।
তবে বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার জুমার পর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ফ্যামিলি, রোব ও মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছেলে শিক্ষার্থী, সোম ও বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মেয়ে শিক্ষার্থী, সোম ও বুধবার দুপুর ১টা থেকে মাগরিব পর্যন্ত ব্যাচেলর পুরুষদের জন্য উম্মুক্ত থাকে।
২০১৫ সালের ৭ অক্টোবরের তথ্যমতে চিড়িয়াখানাতে সবুজ ঘাস রয়েছে ৪১ হাজার ৯৭০ মিটার এলাকা জুড়ে, মাঠ আছে ৩০৮ বর্গ মিটার, ২ হাজার ৫৩৩ প্রজাতির ফুল, ১ হাজার ৩৫৯টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, এবং ছোটখাটো ঝোপঝাপ রয়েছে ১১০০ টি।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পরিবার অথবা উল্লেখিত দিনে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এই হাদিকাতুল হাইওয়ানাত বা চিড়িয়াখানায়। পশু-পাখি আর জীব-জন্তু দেখার পাশপাশি পাবেন সবুজের সঙ্গে মিলিয়ে যাওয়া এক অপূর্ব সুযোগ।
চিড়িয়াখানাটি ভাড়া দেওয়া হয় বিভিন্ন পার্টির পিকনিক করার জন্যও, সেক্ষেত্রে আগে থেকেই শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি নিতে হয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। বুকিং এর জন্য ফোন +৯৬৬১৪৭৭৯৫২৩, +৯৬৬১৪৭৯৩৯৬৮ ফ্যাক্স এবং ইমেইল info@zoo.com.sa যোগাযোগ করতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৬
জিসিপি/বিএস