মদীনা থেকে ফিরে: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইফতারের আসর মসজিদে নববীতে। এখানে প্রায় আড়াই লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য ইফতারের আয়োজন করেন মদিনার বিত্তবানরা।
হাজার বছরের এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে বিভিন্ন ধরনের খাবার পরিবেশনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। মসজিদে নববীতে প্রবেশের রাস্তাগুলোতে শিশুরা দাঁড়িয়ে যায় ইফতার বিতরণের জন্য। প্রতিদিন আসরের নামাজের পর থেকে শুরু হয় ইফতারের পরিবেশনের প্রস্তুতি।
আসরের পরপরই মসজিদে নববীতে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবকরা নববী চত্বরজুড়ে লম্বা করে বিছিয়ে দেন সুফরা (প্লাস্টিকের দস্তরখানা)।
খাবারের মধ্যে থাকে, খেজুর, লেবান (মাঠা), টক দধি, কয়েক ধরনের শরবত, নানান প্রকারের ফল, লাচ্ছি, রুটি, চা, কফি, গাহওয়া (আরাবিয়ান কফি) আর তৃষ্ণা নিবারনে থাকে জমজমের পানি।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা নবী প্রেমীদের আপ্যায়নে দুপুর থেকে শুরু হয় ইফতার বানানোর কাজ,কেউ নিজ বাড়িতে, কেউ রেস্টুরেন্ট থেকে ইফতার বানিয়ে পরিবেশন করেন।
তবে এক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও পিছিয়ে নেই, মসজিদের ভেতরে ইফতার পরিবেশনকারী গাজীপুরের আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি ১১ বছর ধরে এখানে ইফতার পরিবেশন করে আসছি। আসরের নামাজের পর পর এসে প্লাস্টিক বিছিয়ে ইফতার সাজিয়ে দেই।
মসজিদের ভেতর খেবসা আনতে দেওয়া হয় না কেন এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আসলে খেবসা (সৌদিআরবের জাতীয় খাবার) মসজিদে প্রবেশ না করানোর মূল কারণ হচ্ছে এটা পরিস্কার করতে অনেক সময় লেগে যায়। আর তাতে মাগরিবের নামাজ বিলম্বিত হয়। মদিনার মানুষের উদারতা ও অতিথিপরায়ণতার কথা ইতিহাস বলে দেয়। আজও তা মদিনাবাসীর কাছে বিদ্যমান।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৩ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৬
বিএস